ভূত চতুর্দশীতে কোন কোন সিনেমা দেখবেন? রইল একগুচ্ছ সেরা হলিউড ছবির তালিকা

কালীপুজো মানেই একটা ভৌতিক ব্যাপার। গা ছমছমে অনুভূতি নিয়েও সবাই এই ভয়টা অনুভব করতে ভালোবাসেন। যদি এই মুহূর্ত চতুর্দশীর সময় জমিয়ে বেশ কয়েকটা ভূতের সিনেমা দেখা যায় তাহলে কেমন হয় বলুন তো? এবার সেই রকমই দশটি হলিউড ভুতের সিনেমার তালিকা রইলো আপনাদের জন্য।
প্রথমেই রইল নোপ ছবিটির নাম। এটি মুক্তি পায় ২০২২সালের ২২ জুলাই।
পরিচালক জর্ডান পিলের এই সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ড্যানিয়েল কালুইয়া, কেকে পামের, স্টিভেন ইয়ান, প্রমুখ অভিনেতাকে। মূলত বিজ্ঞান নির্ভর ভয়ের সিনেমা। ক্যালিফোর্নিয়ার হেউড পরিবার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ঘোড়া প্রশিক্ষণ দিত। তাঁদের একটি খামার ছিল। এক দিন সেখানে আকাশ থেকে ধাতব বস্তু পড়ে। তার আঘাতে সিনিয়র হেউড মারা যান। তারপর থেকে ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ানক সব ঘটনা।
এরপর যেই ছবিটির নাম নিতে হবে সেটি হল এক্স/পার্ল। এটিও মুক্তি পায় ২০২২ সালেই। টি ওয়েস্ট পরিচালিত এই ছবিতে তরুণী পার্লের চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠার তীব্র আকাঙ্খা দেখা যায়। তার বদলে ১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী চলার সময় টেক্সাসে তাঁদের পারিবারিক বাড়িতে পার্ল একটা হিংসাত্মক কাজ করতে তথা ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়। তার পর থেকে ছবিতে বাড়তে থাকে আরও ভয়াল সব রহস্য।
গত বছর ২৪ জুন মুক্তি পায় দ্য ব্ল্যাক ফোন। একটা ভয়ঙ্কর ভয় ধরানো দুঃস্বপ্নের ফাঁদ পাতে এক ‘সিরিয়াল কিলার’। তার একের পর এক শিকারকে ফাঁদে ফেলার শেষমেশ পরিণতি কিন্তু তাঁর কাছেই আরও বড় ভয়ের হয়ে দাঁড়ায়।
স্পিক নো এভিল ছবিটাও দেখার তালিকায় যোগ করতে পারেন। টাস্কানিতে ছুটি কাটাতে এসেছে দু’টি পরিবার। একটা ডেনিশ, অন্যটা ডাচ। দ্রুত বন্ধুত্ব জমে ওঠে দুই পরিবারের। কয়েক মাস পর মুক্তমনা ডাচ পরিবার রক্ষণশীল ডেনিশ পরিবারকে সপ্তাহান্তের ছুটিতে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে। সেই নিমন্ত্রণ রাখতে গিয়ে ডেনিশ পরিবার ভয়াল সব ঘটনা আবিষ্কার করে ভয়ে কেঁপে ওঠে।
এছাড়াও দেখতে পারেন স্মাইল। রোজ কাটার নামে এক তরুণী মনোবিদ তথা থেরাপিস্ট একজন মানসিক রোগীর উদ্ভট আত্মহত্যা চাক্ষুষ করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিশ্বাস করতে আরম্ভ করে যে, সে যা-ই অনুভব করছে, সবই অতিপ্রাকৃত। একইসঙ্গে তালিকায় যোগ করতে পারেন: স্ক্রিম, ক্রিসমাস ব্লাডি ক্রিসমাস, বডিজ বডিজ বডিজ, বার্বারিয়ান, দ্য মেনু।