বাবা মায়ের সঙ্গে বসে একরত্তি! ইনি এখন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা, দেখুন তো চেনেন কিনা?

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোটবেলার ছবি দেওয়া এখন ট্রেন্ডিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকলেই নস্টালজিক হয়ে নিজেদের ছোটবেলার ছবি আপলোড করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে কাউকে চেনা গেলেও অনেককেই কিন্তু চেনা যাচ্ছে না। এবার তেমনই নিজের ছোটবেলার ছবি আপলোড করলেন এক গায়িকা।
ছোটবেলার তার এই ছবি দেখে একেবারেই চেনার উপায় নেই। তবে বর্তমানে এই গায়িকা এখন দারুন জনপ্রিয়। ইতিমধ্যেই জাতীয় পুরষ্কার এসেছে তাঁর ঝুলিতে। একের পর এক হিট গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এই ফ্রেমটা আবার চাই… প্লিজ! প্লিজ!”
শুধু গানই নয়, ইতিমধ্যেই অভিনয়েও হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। দেশে-বিদেশে ঘুরে গানের অনুষ্ঠানও করেন তিনি।ছবিতে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি গান শেখান। রিয়্যালিটি শোয়েও বিচারকের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। ইনি হলেন ইমন চক্রবর্তী।
ব্যস্ত জীবনে যন্ত্রের মত আমরা কাজ করলেও মাঝেমধ্যেই আমাদের মনে পড়ে মায়ের কথা। এই যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু ছুটি পেতেই পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ কিংবা মায়ের কাছে মনের কথা জানালে যেন মন অনেকখানি হালকা হয়। তেমনই এবার নিজের খানিকটা মনের কথা ফেসবুক পোস্টে লিখে মাকে মনে করলেন ইমন চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, মাতৃ বিয়োগের পর একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন গায়িকা। সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা গান থাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তার সংযোজন, “মায়ের মৃত্যুর পর ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। তারপর সময়ের সঙ্গে কামব্যাক করতে শুরু করি। তখন আমি রবীন্দ্রনাথের একটি বই পড়েছিলাম। সেখানে লেখা আছে মৃত্যু মানে আত্মার মৃত্যু নয়, মৃত্যু মানে মানুষের শরীরের মৃত্যু। এবং আত্মার এক ঘর থেকে আর এক ঘরে যাওয়া। এটা আমায় ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। তার মানে আমার মা বেঁচে আছে এখনও। এবং অনেক বেশি করে মাকে আমি ফিল করতে শুরু করেছিলাম”।