আই হেট লাভ স্টোরিস, এবং দিল্লি বেলি, জানে তু ইয়া জানে না- র মত ছবি উপহার দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালে কাট্টি বাট্টি সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হতেই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির খানের ভাগ্নে ইমরান খান। তাঁর আর্থিক অবস্থা এখন সঙ্গীন। ডুবেছেন অবসাদেও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি মামাকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি? অভিনেতা নিজেই অবশ্য খোলসা করলেন বিষয়টি।
দীর্ঘ ছয় বছর সিনে দুনিয়া থেকে দূরে তিনি। স্বাভাবিকভাবেই নেই রোজগার। গ্রাস করেছে আর্থিক অনটন। চেপে বসেছে অবসাদ। বিচ্ছেদ হয়ে গেছে স্ত্রীর সঙ্গে। এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে গাড়ি বাড়ি। যদিও সিনেমার দুনিয়ায় আবার কামব্যাক করতে তৈরি ইমরান।
এই অবস্থায় আমির খানের তাঁর পাশে থাকা নিয়ে ইমরান বলেন, সিনিয়র অভিনেতা তাঁর কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় তারা একসঙ্গে খুব বেশি সময় কাটাতে পারেননি। ইমরানের কথায়, “তিনি খুবই ব্যস্ত মানুষ। তাই আমরা মাঝেমাঝেই দেখা করতাম। তিনটি ছবির কাজ নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত ছিলেন সেই সময়। তাই আলোচনা এগনোর সুযোগ পায়নি। জীবনটা এমনই। শেষ পর্যন্ত আমার মা আমাকে সাহায্য করেছিলেন”।
আমির খান তাঁর আইডল, এই কথা সব সময় স্বীকার করেছেন তিনি। বলেন, “এই ব্যাপারে তাদের কোনও ভয় নেই। তাঁর মধ্যে দুর্দান্ত অনুভূতি রয়েছে, যার আমি প্রশংসা করি এবং সবসময় সেটা করব। আমি সবসময় তাঁকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। আমি তাঁর সঙ্গে খুব কাছের এবং ব্যক্তিগত কাজ করেছি”।
শোনা যায়, ইমরান তাঁর বিলাসবহুল পালি হিলের বাংলো ছেড়ে চলে এসেছেন বান্দ্রার একটি ফ্ল্যাটে। তার রান্নাঘরে মাত্র তিনটি প্লেট, তিনটি কাঁটা চামচ, দুটি কফির মগ এবং একটি ফ্রাইং প্যান আছে। বিক্রি করে দিয়েছেন, চেরি লাল রঙের ফেরারি গাড়িটি। এখন চালান ফক্সওয়াগেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, কিভাবে তাঁকে তাঁর চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করা হত। হীনমন্যতায় ভুগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “ভিতর থেকে মনে হত আমাকে একদম পারফেক্ট দেখাচ্ছে। কিন্তু আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আমি শক্তিশালী হতে চেয়েছিলাম, হিরোসুলভ চেহারা চেয়েছিলাম। চাই আরও বেশি করে চেষ্টা করলাম”।