মদ্যপ বাবার জন্য সপ্তম শ্রেণীতেই ছাড়তে হয় পড়াশোনা! পেট চালাতে রাস্তায় পেনও বিক্রি করেছেন জনি লিভার

জনি লিভার এর নাম শুনলেই প্রথমেই মাথায় আসে কমেডি সিনেমা। ৯০ দশকে একের পর এক সিনেমায় কমেডি চরিত্রের তাক লাগিয়েছেন তিনি। প্রায় ৩০০ এর বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তবে বর্তমানে তার সিনেমার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু তাহলে ও একই ভাবে জনপ্রিয় রয়েছেন অভিনেতা।
আজ এই অভিনেতা খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছেন। কিন্তু এক সময় অনেক কষ্টে দিন কেটেছে তাঁর। অভিনেতার বাবা ছিলেন মদ্যপ। যার জন্য ছোট থেকেই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে।তিনি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁকে অনেক সাহায্য করেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পায়ে যত্ন করে নেলপলিশ পরাচ্ছেন রাজ! স্বামীর ভালোবাসায় বুঁদ শুভশ্রী
অভিনেতা বলেন, “আমার বাবা মদ্যপ ছিলেন। তিনি কখনওই আমাদের দিকে মনোযোগ দেননি। তবে আমার বড় কাকা আমাদের স্কুলের বেতন এবং রেশন কেনার জন্য টাকাও দিতেন। তাই কিছুদিন পর আমি বিরক্ত হয়েই স্কুল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু, স্কুলে পড়ার সময় অনেক ভালোবাসা পেয়েছি”।
নিজের ইচ্ছেপূরণ ও অভাবের তাড়নায় রাস্তায় কলম অবধি বিক্রি করেছেন তিনি। তাঁর শিক্ষক শিক্ষিকারাও তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন বলে জানান তিনি। অভিনেতা বলেন, স্কুলে ফিরে আসার জন্য তাঁকে শিক্ষিকারা বেতন এবং কাপড় দিতেও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আদরে ভালোবাসায় ভরে উঠল মঞ্চ! ডান্স বাংলা ডান্সের সেটে সাধ খেলেন শুভশ্রী, রইল ভিডিও
এদিকে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বছর ধরেই তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু ৯০ এর দশকে কমেডি চরিত্রে একচ্ছত্রভাবে রাজ করেছেন তিনি। ১৯৯৩ সালের ছবি বাজিগরে অজ্ঞাত বাবুলালের ভূমিকার জন্য প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। তাহলে হঠাৎ কি কারনে তার সিনেমার সংখ্যা কমছে?
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “কখনও কখনও, নায়করা হুমকি দিতেন এবং আমার দৃশ্যগুলি সম্পাদনা করে দেওয়া হত। তারা দেখতেন দর্শকরা আমার দৃশ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, এবং নিরাপত্তার অভাব বোধ করত। লেখকরা কমেডি দৃশ্য শেয়ারও করে বেশি এবং সেটাই সমস্যার। আমার ভূমিকা ছোট থেকে ছোট হতে থাকল ধীরে ধীরে। যা এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে।”