খাওয়ার পরেই মিষ্টি খাওয়ার জন্য মুখটা কেমন যেন সুরসুর করতে থাকে? কিন্তু মিষ্টি খেলেই ওজন বেড়ে যাওয়ার চিন্তা। তাই মিষ্টি খাব কি খাব না? এই টানাপোড়েনে পড়ে বেহাল দশা হয় মিষ্টি প্রেমীদের। তবে মিষ্টি খাওয়ার বিকল্প হিসেবে গুড়কে বেছে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। মিষ্টিও খাওয়া হবে আবার ওজন বৃদ্ধিরও ভয় থাকবে না।
গুড় খেলে শুধু যে মিষ্টি খাওয়ার শখ মেটে তা নয়, গুড় শরীরের অনেক উপকারও করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু,পেশীতে ব্যথা বাড়ে। গুড় খেলে সেই সমস্যা অনেকটা মিটতে পারে। গুড় খাওয়ার ফলে হাড়ের যন্ত্রণা খানিকটা কমে আবার হাড়ের নমনীয়তা বজায় থাকে।
পেট ভার, গ্যাসের সমস্যা থেকেও গুড় মুক্তি দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা, ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলে ভেলি গুড় খুব ভালো কাজ করে। অন্ত্র ভালো রাখতে এই গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও অনেক দিনের পুরনো কাশি, ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকে জমা সর্দির থেকে আখের গুড় মুক্তি দিতে পারে।
গুড়ে আয়রন থাকে। তাই যাদের রক্তে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে কিংবা রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তারা একটু গুড় খেলে সমাধান হতে পারে। এছাড়াও গুড়ে থাকা জিংক সেলেনিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।