বিনোদন

সফলতার শীর্ষে গিয়েও অধরা সরকারি সম্মান! আক্ষেপ করে ক্ষোভ উগরে দিলেন কুমার শানু

৯০ দশকের মেলোডি কিং বলে যদি কেউ থাকেন তাহলে তিনি একমাত্র কুমার শানু। তার গান আজও চির নতুন। তবে বাঙালি ছেলে কেদারনাথ ভট্টাচার্য থেকে কুমার শানু হয়ে ওঠার লড়াইটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। কুমার শানু হওয়ার পেছনে রয়েছে এই বাঙালি ছেলের দীর্ঘ স্ট্রাগেলের গল্প। কিন্তু এত সফলতার পরেও মেলেনি সরকারের তরফে যোগ্য সম্মান। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গায়ক।

৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা প্লেব্যাক গায়কের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে নাম নেই কুমার শানুর। নিজের প্রায় চার দশকের কর্মজীবনে এক বারও জাতীয় পুরস্কার পাননি তিনি নিজে। এই নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। আমার পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। আমি আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। যদিও খারাপ তো লাগেই, কষ্ট হয়। তবে আমি এটাও বুঝি যে, সেই রকম তেল দেওয়ার মতো ক্ষমতা না থাকলে এই সব সম্মান পাওয়াও যায় না”।

এখানেই শেষ নয়, ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সরকার যদি কখনও যোগ্য মনে করে আমাকে, তা হলে দেবে। না দিলে আমি কী করব। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে চললে তবেই এখন পুরস্কার পাওয়া যায়”। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পেয়েছিলেন গায়ক। তবে কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীনও মেলেনি জাতীয় পুরস্কার।

প্রথমদিকে কলকাতা এবং মুম্বাইয়ের হোটেলে গান গাইতেন তিনি। তখন কেদারনাথ ভট্টাচার্য বলেই পরিচিত ছিলেন গায়ক। গান গাইতে গিয়ে জগজিৎ সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তার। এরপর তার মাধ্যমে আলাপ হয় বিখ্যাত সংগীত পরিচালক দুটি কল্যাণ জি এবং আনন্দের সঙ্গে। তারাই একটি প্রেক্ষাগৃহের অনুষ্ঠানে কুমার শানু কে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সেই থেকে সাড়ে তিন দশক ধরে গান গেয়ে চলেছেন কেদারনাথ ভট্টাচার্য ওরফে কুমার শানু। তিনি জানান, ছাব্বিশটি ভাষায় একুশ হাজার গান গেয়েছেন। যে গতিতে এগোচ্ছেন, এই বছরের শেষেই বাইশ হাজার গানের গণ্ডি টপকে যাবেন বলে আত্মবিশ্বাসী শানু।

Back to top button