রিয়েলিটি শো মানেই কি অভিনয়? রিয়েলিটি শো নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কুমার শানুর

Published on:

এই বাঙালি বাচ্চার মধ্যে দম আছে! মঞ্চে উঠে ফের বিস্ফোরক কুমার শানু

৯০ দশকের মেলোডি কিং বলে যদি কেউ থাকেন তাহলে তিনি একমাত্র কুমার শানু। তার গান আজও চির নতুন। তবে বাঙালি ছেলে কেদারনাথ ভট্টাচার্য থেকে কুমার শানু হয়ে ওঠার লড়াইটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। কুমার শানু হওয়ার পেছনে রয়েছে এই বাঙালি ছেলের দীর্ঘ স্ট্রাগেলের গল্প। এবার এই গায়কই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রিয়েলিটি শো নিয়ে।

বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই ধরনের শোয়ের গুরুত্ব জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ঠিক কতটা জরুরী বলতে পারব না, তবে এই রিয়্যালিটি শো এখন আমাদের পেশার একটা অংশ হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন ছেলে মেয়েরা যাঁরা গান শিখতে চায় তাঁদেরকে শেখানোর কিছু টিপস দেওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি কিছু ট্যালেন্টকে ইন্ডাস্ট্রির সামনে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে”।

   
 ⁠

এরপর বেশ কিছুটা চাচাছোলা ভাষায় তিনি জানান, “যাই হোক না কেন, দক্ষতা হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই সব শোয়ের ক্ষেত্রে। একটা গানের শোয়ে সবার আগে একজনকে গানটা গাইতে হবে। বাদবাকি সংযোজন বা অভিনয়। কারণ এটা একটা বিনোদন জগতেরই তো অংশ”।

  
 ⁠

প্রসঙ্গত, নিজের প্রায় চার দশকের কর্মজীবনে এক বারও জাতীয় পুরস্কার পাননি তিনি নিজে। এই নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। আমার পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। আমি আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। যদিও খারাপ তো লাগেই, কষ্ট হয়। তবে আমি এটাও বুঝি যে, সেই রকম তেল দেওয়ার মতো ক্ষমতা না থাকলে এই সব সম্মান পাওয়াও যায় না”।

এখানেই শেষ নয়, ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সরকার যদি কখনও যোগ্য মনে করে আমাকে, তা হলে দেবে। না দিলে আমি কী করব। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে চললে তবেই এখন পুরস্কার পাওয়া যায়”। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পেয়েছিলেন গায়ক। তবে কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীনও মেলেনি জাতীয় পুরস্কার।