কুমার শানুর সঙ্গে পরকীয়াই কাল হল! একের পর এক কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী

Published on:

কুমার শানুর সঙ্গে পরকীয়াই কাল হল! একের পর এক কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী

৯০ দশকের মেলোডি কিং বলে যদি কেউ থাকেন তাহলে তিনি একমাত্র কুমার শানু। তার গান আজও চির নতুন। বাঙালি ছেলে কেদারনাথ ভট্টাচার্য থেকে কুমার শানু হয়ে ওঠার লড়াইটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। কুমার শানু হওয়ার পেছনে রয়েছে এই বাঙালি ছেলের দীর্ঘ স্ট্রাগেলের গল্প। একইসঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বারবার ঘুরে ফিরে আসে চর্চায়।

জানা যায়, মীনাক্ষী শেষাদ্রির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। আর নিজের ক্যারিয়ারকে জলাঞ্জলি দিয়ে তার দাম দিতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এই পরকীয়ার জেরে তিনি নাকি কাজও পাচ্ছিলেন না।

   
 ⁠

১৯৯০ সালেই মুক্তি পায় মহেশ ভাট পরিচালিত ‘জুর্ম’ ছবিটি। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মীনাক্ষী শেশাদ্রি। এই ছবিতেই ‘যব কোয়ি বাত বিগড় যায়ে’ গানটি গেয়েছিলেন কুমার শানু এবং সাধনা সরগম। শানুর কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন মীনাক্ষী। ছবির প্রিমিয়ারের সময় তাই গায়কের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলেন মীনাক্ষী।

  
 ⁠

মীনাক্ষী তাঁর মনের কথা জানান বিবাহিত শানুকে। অভিনেত্রীকেও মনে ধরে শানুর।তিন বছর লোকচক্ষুর আড়ালে শানু এবং মীনাক্ষী প্রেম করেন। শানুর এই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের গায়কের সচিব জানতে পেরে তাঁর স্ত্রী রীতাকে সব টা জানিয়ে দেন। শানুর বিবাহিত জীবনে শুরু হয় অশান্তি। এক জন বিবাহিত পুরুষের সংসার ভাঙছেন বলে সকলে মীনাক্ষীকেই দোষ দিতে শুরু করেন। সংসার ভাঙার অভিযোগে কাজের প্রস্তাবও কম পেতে শুরু করেন মীনাক্ষী। কিছু সময় পর বলিউডের ছবি নির্মাতারা মীনাক্ষীকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়াই বন্ধ করে দেন।

১৯৯৪ সালে রীতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় শানুর। ছবিতে আর কাজ পাচ্ছিলেন না বলে মীনাক্ষীও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে আমেরিকার এক জন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। এরপর প্রথম বিয়ে ভাঙার পর সালোনিকে বিয়ে করেন কুমার শানু।