উত্তম কুমারের বাড়ির লক্ষী পুজোর মাহাত্ম্য আলাদা করে বলতে লাগে না। মহানায়ক যে পুজো শুরু করেছিলেন সেই পরম্পরা চলে আসছে আজও। এখন দায়িত্বভার তাঁর নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের কাঁধে। তিনিও সেই দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠা ভরে।
এই লক্ষী পুজো শুরু করার পিছনে রয়েছে এক ইতিহাস। জানা যায়, একদিন মহানায়ক বাড়ির ছাদে বসেছিলেন, সেই সময় তিনি দেখেন এক বালিকা ছাদের কিনারে বসে রয়েছে। কিন্তু বাচ্ছা মেয়ে কোত্থেকে এল! বাড়িতে সে সময় বালিকা বলতে একমাত্র তাঁর ভাইঝি রত্না।
এরপরেই ভাইঝির খোঁজ করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন রত্না ঘরে ঘুমোচ্ছে। এরপর লক্ষ্মীপুজোর দুদিন আগে বাড়িতে লক্ষী পেঁচা দেখতে পান তিনি। তখনই আর বুঝতে দেরি হয়না সেই ছাদে বসে থাকা বালিকা আসলে মা লক্ষীরই রূপ ছিল। সেই থেকে শুরু হয় পুজো।
এই পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব হল দেবীর মুখের আদল হয় মহানায়কের স্ত্রী অর্থাৎ গৌরী দেবীর মুখের আদলে। সেই ধারা বজায় রেখে এখনও দেবীর মুখের গড়ন গৌরী দেবীর আদলেই হয়।
দেবীকে নিবেদন করার জন্য দোকান থেকে কিনে আনা মিষ্টান্ন নাপসন্দ ছিল উত্তমের। নিজের বাড়িতে ময়রা ডেকে ভিয়েন বসাতেন মহানায়ক। সেই ভিয়েনে তৈরি হত গরম গরম পান্তুয়া-সহ আরও নানা উপাদেয় মিষ্টি। ভোগ-নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবীর আরাধনা করতেন ব্রাহ্মণ-সন্তান স্বয়ং মহানায়ক।