দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোয় সুদূর মুম্বই থেকে উড়ে এলেন বাড়িতে! মনামীর বাড়ির এই পুজোর বিশেষত্ব কী জানেন?

কোজাগরি লক্ষ্মীপূজো বাদ দিয়েও কালীপুজোর সময় আরো একটি লক্ষী পূজা করা হয়ে থাকে। সেটিকে দীপান্বিতা লক্ষী পূজা বলা হয়। অলক্ষী বিদায় করে লক্ষ্মীকে ঘরে প্রবেশ করানোর দিন সেদিন। অভিনেত্রী মনামি ঘোষের বাড়িতেও ধুমধাম করে এই দীপান্বিতা লক্ষ্মীপূজো হয় এবারেও তাঁর অন্যথা হয়নি। আর সেই পুজোর জন্যই সুদূর মুম্বাই থেকে বাড়িতে এসেছেন অভিনেত্রী।
বহু বছর থেকেই এই পুজো তার বাড়িতে হয়ে আসছে। তাই পূজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আবেগ এবং নস্টালজিয়া। এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি। স্মৃতিচারণা করেছেন নিজের ছোটবেলার।
সাদা শাড়িতে পায়ে আলতা পরে পুজোর দিন সেজে ছিলেন অভিনেত্রী। এরপর নিজের বাড়ির পূজো প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এই পুজোটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল। ছোট থেকে এই পুজোটা আমি বাড়িতে দেখে আসছি। শেষ কয়েক বছর আমি কলকাতায় থাকছি। আর এই পুজোতে পুরোপুরিভাবে থাকি। মা সবটাই করে। আমি শুধু এই দিন উপোস করি আর যেটুকু কাজের প্রয়োজন হয়। এই বছর তো মুম্বই ছিলাম। কিন্তু, পুজোর টানে কলকাতায় চলে এলাম। যতদিন পারব এই পুজোটা আমি করব”।
এই পূজাতে তাদের বাড়ির বিশেষত্ব হলো খিচুড়ি ভোগ হবেই। অভিনেত্রী জানান, প্রত্যেকবারেই অন্য কিছু ভোগ করার কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত খিচুড়িতে এসেই থামা হয়। কেউ খিচুড়ি ছাড়া অন্যান্য ভোগ খেতেই চান না। তাদের বাড়ির বিশেষত্ব এটাই।
অন্যদিকে ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে তিনি আরো জানান, “কখনও যদি নাড়ু পাকাতে ইচ্ছে করে তাহলে পাকাতে গিয়ে খেতে আরও ভালো লাগে। ছোটবেলায় সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নেওয়ার মধ্যেই একটা নির্মল আনন্দ ছিল। এরপর নিজেদের বাগান থেকে ফুল তোলা, দুব্য তোলার কাজটা বাড়ির সব ছোট সদস্যরা মিলে খুব মজা করে করতাম। সেই সঙ্গে আরও একটা মজার কাজ ছিল চন্দন বাটা”।