মৃণাল সেনের মৃগয়া দিয়ে শুরু। তারপর আর ভাবতে হয়নি পরের ছবি নিয়ে। একের পর এক ছবিতে মারকাটারি অভিনয় করে সহজেই মন জয় করেছেন মমতা শঙ্কর। জানা যায় মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তারপরেও বিষয়টি আর এগোয়নি।
মিঠুনের সঙ্গে মমতা শংকরের সম্পর্ক নিয়ে নানান গুঞ্জন রয়েছে। এমনকি তাঁরা নিজেরাও স্বীকার করেছেন সেই সম্পর্কের কথা। কিন্তু কোনও ভাবেই আর এগোয়নি সেই সম্পর্ক। জানা যায়, এর পেছনে দায়ী মিঠুনই। তাঁর জন্যই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি।
মমতা শঙ্কর জানান, “বাপিদা (চন্দ্রদয় ঘোষ)-র সঙ্গে আমার তখন বিয়ের কথা চলছিল। এরপর মৃগয়া-র শ্যুটে আলাপ মিঠুনের সঙ্গে। বাপিদার সঙ্গেও মিঠুনের আলাপ করিয়েছিলাম আউটডোর শ্যুটে যাওয়ার আগে। সেটে যে কোথা থেকে কী হয়ে গেল। আমি অনেক কষ্টে নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। যে বাপিদাকে আমি ঠকাব না! কিন্তু কীভাবে কী হয়ে গেল”।
মমতা শঙ্কর জানান, মিঠুনই আসলে তখন রাজি হননি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে। আরও কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। সদ্য হিট আসতে শুরু করেছিল কেরিয়ারে। সেসব জলাঞ্জলি দিয়ে ছাদনাতলায় তখনই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না তাঁর! তবে এখন তাঁরা ভালো বন্ধু। শেষ প্রজাপতি ছবিতেও তাঁদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
এদিকে অভিনয় জগতে আসার প্রসঙ্গে মমতা শঙ্কর একবার জানান, “ছোটবেলা থেকে অনেক অফার এসেছিল অভিনয়ের জন্য। কিন্তু বাবা মা চাননি অত ছোট বয়সেই অভিনয় জগতে যাই। আমার দাদা মৃণাল দার তিনটি ছবিতে গানের দায়িত্ব সামলেছিলেন। তখনই মৃণাল দা আমায় বলেছিলেন তুমি কখনও অভিনয় করার কথা ভাবলে আগে আমায় জানাবে। এরপর কলেজে উঠে যখন যোগাযোগ করি তখনই উনি জানান একটা ছবিতে এখনই একটি সাঁওতালি মেয়ে প্রয়োজন। ব্যাস হয়ে গেল”।
মমতা শঙ্কর আরও জানান, তাঁদের বাড়িতে নাচের সংস্কৃতি ছিল গোড়া থেকেই। তবে কেউ কখনও তাঁকে জোর করেননি যে নৃত্যশিল্পী হতেই হবে। তবে নাচটা ছিল তাঁর ভালোলাগার জায়গা। অভিনয়ের সুযোগ এসেছিল ছোট থেকেই। তবে তাঁর মা বাবা চাননি এত ছোট থেকেই অভিনয়ের জগতে পা দিক মেয়ে। তাই একটু বড় হয়েই শুরু হয় অভিনয়।