পঞ্চভূতে বিলীন হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা মনোজ মিত্র। নিমতলা মহাশ্মশানে হল শেষকৃত্য। অশীতিপর অভিনেতা ও নাট্যকার মনোজ মিত্র চক্ষুদান করে গিয়েছেন৷ নাট্যজগতে একটা যুগের অবসান হল।
এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে শায়িত ছিল মনোজ মিত্রের মরদেহ। সেখানেই অনুরাগী থেকে শুরু করে সিনেমা-নাট্যকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন।গান স্যালুটে তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়।
অভিনেতার কন্যা ময়ূরী মিত্র জানিয়েছেন, “ইন্দ্রনীল সেন গোটা বিষয়ে এর আগেও অনেক বার সাহায্য করেছেন। তিনি নিজে গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করছেন। গান স্যালুট হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আমার কোন চিন্তাভাবনা ছিল না। বাবা সাধারণ মানুষ ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা তাঁর নিজের অর্থেই হয়েছে”।
ভারতীয় ছবি ও থিয়েটার জগতে এক বড় ক্ষতি। না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মনোজ মিত্র। নাট্য জগতে তৈরি হয়েছে মহাশূন্যতা। বর্ষিয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানিয়ে লেখেন, “প্রখ্যাত নট, নাট্যকার ও পরিচালক, ‘বঙ্গবিভূষণ মনোজ মিত্র’র প্রয়াণে শোকাহত হলাম। বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই”।
আজ সকাল ৮.৫০ নাগাদ তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেপ্টেম্বর মাসেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। বাইপ্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। রক্তচাপ, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের সমস্যা ছিল তার।
বয়সজনিত কারণেই একাধিক শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি তাঁর কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও ছিল।