নিজের দক্ষতায় ফুটপাথ থেকে আজ রাজপ্রাসাদে উঠে এসেছেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্ত্তী ওরফে মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর অভিনয় নিয়ে কেউ কোনও দিন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কিন্তু একসময় টাকা উপার্জনের জন্য তাঁকেও করতে হয়েছে এই কাজ। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো।
২০০০-এর শুরুতে খানিকটা এলোমেলো হয়ে যায় মিঠুন চক্রবর্তীর কেরিয়ার। অভিনয় করেন বেশ কিছু বি-গ্রেড ছবিতে। এই প্রসঙ্গে মিমো জানান, “পয়সার জন্য করতে বাধ্য হয়েছে বাবা। তবে এমনটা তো নয় ওই সব প্রযোজকরা ক্ষতির মুখ দেখছিলেন। ৭০ লক্ষ খরচ করলে তাঁরা পরিবর্তে এক কোটি পাচ্ছিল। এখনও তো বাবা ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ কাজ করছেন। উনি যা করেন, তা সব সময় আমাদের জন্যই করেন। আমার খুব গর্ব হচ্ছে বলতে, তাঁর প্রথম ও শেষ চিন্তা শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র পরিবারকে ঘিরেই”।
যদিও এই প্রসঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে জানিয়েছিলেন, “গুন্ডার’ মতো ছবিতে অভিনয় করা তাঁর মোটেও উচিৎ হয়নি। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বাবা, তা মোটেও তাঁর যোগ্য ছিল না।” যদিও ছোট ভাইয়ের এই মতের সঙ্গে সম্মতি পোষণ করেননি মিমো।
মিমো আরও জানান, “আমাদের মা আমাদের থেকে বাবার পতন অনেক বেশি দেখেছে। আমরা ছোট ছিলাম। বাবা ছিলেন সুপারস্টার। মা বলতেন, যখনই তাঁর ছবি ফ্লপ হতো, তখনই নাকি হতাশায় ডুবে যেতেন বাবা।”