নিজের দক্ষতায় ফুটপাথ থেকে আজ রাজপ্রাসাদে উঠে এসেছেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্ত্তী ওরফে মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর অভিনয় নিয়ে কেউ কোনও দিন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। জানা যায়, অভিনেতার সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্ক কোনওদিনই ভালো ছিল না। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস সেই কারণেই আজ তিনি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জীবনে অনেক কঠিন সময় এসেছে। তখন তিনি বারে বারে ভেবেছেন সময়ের সঙ্গে হয়তো লড়াই করতে পারবেন না। নিজের স্বপ্নপূরণ করতেও হয়ত ব্যর্থ হবেন। এমন কি আত্মহত্যার কথার এসেছিল তাঁর মাথায়। কিন্তু মাঝপথে লড়াই না থামানোর পরামর্শ পেয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বাবার মোটেই ভাল সম্পর্ক ছিল না। আমায় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তখন খুব রাগ হয়েছিল। আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্যই বাবার মোটেই পছন্দ ছিল না। মা-কে বলেছিলেন শান্তি আমাদের একটাই ছেলে। যতক্ষণ না আমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছি ততক্ষণ বাবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি”।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের পরিচালনায় মৃগয়া ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। জিতে নেন সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার। এরপর মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে কার্যত হারিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এরপরে, তাঁকে খ্যাতির আলোয় নিয়ে এল ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিটি। শুধু অভিনয় নয়, মিঠুন পরিচিত হলেন এক দুর্দান্ত নৃত্যশিল্পী হিসেবেও।
ব্যক্তিগত জীবনে, অভিনেত্রী যোগীতা বালির সঙ্গে বিয়ে হয় মিঠুনের। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। শোনা যায়, একসময় শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মিঠুনের। সেই সম্পর্ক এগিয়েছিল এতটাই যে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে একথাও ভাসে যে গোপনে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শ্রীদেবী যখন বুঝতে পারেন মিঠুন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চান না, সম্পর্ক থেকে সরে আসেন শ্রীদেবী।