৭৫ বছরে পা দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৫০ সালে বাংলাদেশে জন্ম হয় মিঠুনের। এরপর সেখানেই বেড়ে ওঠা।বরিশাল জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেন।তারপর আসেন কলকাতায়। স্কটিশ চার্চ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন করেন। হঠাৎ করেই সিনে দুনিয়ায় ঢুকে পড়েন। এরপর কেটে গিয়েছে ৫০ টি বছর। করে ফেলেছেন প্রায় ৩৭০টি ছবি। তার ছবিতে একেকটি ডায়লগেই দর্শকদের পয়সা উসুল হয়ে যায়। মিঠুন চক্রবর্তী যখন ডায়লগ দেন পর্দায় হল ফেটে পড়ে হাত তালিতে।
মিঠুনের ছবি মানেই তীক্ষ্ণ সব সংলাপ। তার মারকাটারি ডায়লগে মুগ্ধ গোটা দর্শক মহল। তাই অভিনেতার জন্মদিনের পরের দিন একবার ফিরে দেখা যাক তার সেই সব টানটান উত্তেজনাময় ডায়লগগুলি।
মিঠুন চক্রবর্তী বললেই প্রথমে যে সংলাপ মনে পড়ে তা হল, মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। ২০০৬ সালে স্বপন সাহা পরিচালিত ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। এর পর অনেকটা সময় পেরিয়েছে। কিন্তু এখনও একইভাবে জনপ্রিয় এই সংলাপ। এরপরেই আসে ‘ফাটাকেষ্ট খবর দেখে না, খবর শোনে না, খবর তৈরি করে’, ‘ফাটাকেষ্ট’ ছবির এই সংলাপ কমবেশি সকলেরই জানা।
মিঠুনের ‘তুলকালাম’ ছবির একটি সংলাপ দারুন জনপ্রিয় হয়েছিল। সেটি হল, ‘পাবলিকের মার কেওড়াতলা পার’, এই সংলাপও কমবেশি সকলেরই জানা। ২০০৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল অনুপ সেনগুপ্ত পরিচালিত ‘মহাগুরু’। মিঠুনের মুখে ‘নার্সারিতে শুরু, হাফ প্যান্টে গুরু, ফুল প্যান্টে মহাগুরু’ আজও মনে রেখেছে দর্শক।
মিঠুন যে ক’টি বাণিজ্যিক বাংলা ছবি করেছেন, সেগুলির মধ্যে ‘অভিমন্যু’ অন্যতম। এই ছবিতেই এক দৃশ্যে মিঠুনের একটি সংলাপ ছিল, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাতগোখরো, এক ছোবলেই ছবি’। এই সংলাপ শুনে হাত তালির বন্যা বয়ে গিয়েছিল হলে।
নিজের দক্ষতায় ফুটপাথ থেকে আজ রাজপ্রাসাদে উঠে এসেছেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্ত্তী ওরফে মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর অভিনয় নিয়ে কেউ কোনও দিন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। প্রসঙ্গত,
স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাশ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর তিনি পড়াশোনা করতে চলে যান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ায়। কিন্তু হঠাৎ করেই সংসারের হাল ধরতে, আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয় মিঠুনকে। সেসময়ে তাঁরও জীবনের ঝুঁকি ছিল। ধীরে ধীরে মিঠুনের জীবন মোড় নেয় অন্যদিকে।