১৯৪৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত চুটিয়ে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মেহজাবিন বানু। এই নামে কেউ না চিনলেও মীনা কুমারী বললেই আর আলাদা করে পরিচয় দিতে লাগে না। দাপুটে এই অভিনেত্রীর রমরমা ছিল সেই সময়ে। পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার-সহ একাধিক পুরস্কার। কিন্তু শেষ জীবনে অর্থকষ্টে জেরবার হয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর জীবনী নিয়েই তৈরি হতে চলেছে সিনেমা।
সিদ্ধার্থ পি মলহোত্রর পরিচালনায় অভিনেত্রীর প্রেমগাথা দেখা যাবে বলিউডের রুপোলি পর্দায়। যৌথ ভাবে ছবিটি প্রযোজনা করছেন সারেগামা ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং লায়নহার্ট সিনেমা। সিনেমার নাম, ‘কমল মীনা’।
পরিচালক জানিয়েছেন, একেবারে শুরু থেকে উভয়ের শেষ ছবি ‘পাকিজা’ পর্যন্ত ধরার ভাবনা তাঁর। ছবির শুটিং শুরু আগামী বছরে। সঙ্গীত পরিচালনায় এ আর রহমান। ২০২৬ সালে এই ছবি মুক্তি পেতে পারে।
মাত্র ৪ বছর বয়সেই শুরু হয়েছিল অভিনয়। তারপর থেকে ৯০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন মীনা কুমারী। তাঁকে হিন্দি ছবির ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ বলা হয়। এত ছোট থেকে অভিনয় করার জন্য কখনোই স্কুলে যাওয়া হয়নি তাঁর। খুব অল্প বয়সেই পরিবারের জন্য অর্থ জোগাড় করতে অভিনয় জগতে পা রাখেন। বীর ঘাতক’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
সেই সময় বলি ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন মীনা কুমারী। ১৯৫২ সালে পরিচালক কামাল আমরোহির সঙ্গে পরিচয় হয় মীনা কুমারীর। তাঁদের বিয়েও হয়। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয় না। বিবাহ বিচ্ছেদের পরেই মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। দেখা দেয় একাধিক রোগ।
সিরোসিস অফ লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হন তিনি। প্রথম দিকে যশ, অর্থ, বিলাসবহুল জীবন কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু শেষ জীবনে আর্থিক অভাবে জীবন হয়েছিল বিপন্ন। মৃত্যুর পর হাসপাতালের বিল পর্যন্ত মেটাতে পারেনি তাঁর পরিবার। পরে এক চিকিৎসক সেই টাকা মিটিয়েছিলেন। তাঁর জনপ্রিয় ছবি ‘পাকিজা’ মুক্তির মাত্র ৩ সপ্তাহ পর-ই মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় মীনা কুমারীর।