স্বামীহারা হলেন মুনমুন সেন। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা প্রয়াত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁর দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমা। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
জানা গিয়েছে এদিন সকালে থেকেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জামাই। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই সুযোগ আর পাওয়া যায়নি। নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য।
১৯৪১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ইলা দেবী ও ত্রিপুরার মহারাজা রমেন্দ্রকিশোর দেব বর্মার ছেলে ভরতের। তাঁর মা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী, যার ছোট বোন গায়ত্রী দেবী জয়পুরের মহারানি। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন ভরত। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত দেব বর্মা পরিবার।
১৯৭৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুনমুন সেন ও ভরত দেব ভর্মা।খুব ধুমধাম হয়েছিল সেই বিয়েতে। বাংলা বিনোদন জগতের সকলেই প্রায় উপস্থিত ছিলেন। সুচিত্রা সেন নিজে গিয়ে বিয়ের কার্ড দিয়ে এসেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়িতে। শুধু মাত্র ভালো স্বামী নন, তিনি ছিলেন আদর্শ পিতাও। দুই কন্যা রাইমা ও রিয়াকে বুকে আগলে মানুষ করেছেন তিনি। তাঁদের ৪৬ বছরের দাম্পত্যে এদিন ইতি পড়ল।