তিন ভাইবোনই স্বনামধন্য সংগীত শিল্পী। কিন্তু একসময় তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না একেবারেই। একটা ঘরেই কোনও মতে দিন কাটাতেন নেহা কক্কর এবং তার পরিবার। সেই আর্থিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে কিভাবে সাফল্যের পথ দেখলেন গায়িকা? তিনি নিজেই জানিয়েছেন সেই কথা।
জানা যায় পরিবারে এতটাই আর্থিক অভাব ছিল যে তার মা তাকে জন্মই দিতে চাননি। এরপর অর্থাভাবে মধ্য দিয়ে অল্প অল্প করে বেড়ে উঠেছেন নেহা কাক্কার ও তার তিন ভাই বোন। একটা ছোট ঘরেই কোন মতে দিন কাটাতেন তারা। আর তার মধ্যে অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোজগারের কারণে পরিবার-সহ দিল্লি চলে যান নেহা।শৈশব থেকেই কষ্ট করে বড় হয়েছেন নেহা। ভজন গাওয়ার সময় থেকে গানবাজনার প্রতি আগ্রহ জন্মায় নেহার।গানের প্রতি আগ্রহ থেকেই নেহা সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি গানের রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করবেন।
এরপর যেমন ভাবা তেমন কাজ। ভাই টনি কক্করের সাথে মুম্বাই চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে একটি রিয়ালিটি শো তে অংশগ্রহণ করেন নেহা। কিন্তু শুরুর দিকেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে যান ১৮ বছর বয়সি নেহা।
এরপর ২০০৮ সালে নিজের ভাইয়ের সঙ্গে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ঠিক এর পরের বছর এ আর রাহমানের একটি সিনেমায় সমবেত কন্ঠে গলা দিয়েছিলেন নেহা। গানের পাশাপাশি অভিনয়ও শুরু করেন তিনি। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইসি লাইফ মে…!’ ছবিতে অভিনয় করেন নেহা।
কন্নড় এবং তেলুগু ছবিতে গান গেয়ে দক্ষিণের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও সম্মানিত হন তিনি। এরপর তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় ককটেল ছবিতে গান গাওয়ার পর। হঠাৎ করেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান গায়িকা।ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেলও খুলেছেন নেহা। সেখানে নিজের মিউজ়িক ভিডিয়ো আপলোড করেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠান প্রতি ৯০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি। হিন্দি ছবিতে গান প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে ধার্য করেন গায়িকা। পাশাপাশি ইউটিউব থেকেও আয় রয়েছে তার।