মৃত্যুর পর কেটেছে দুই বছর। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী নির্মলা মিশ্রের। তবে তাঁর এই বিখ্যাত শিল্পী হওয়ার পেছনে রয়েছে এক কাহিনী। প্রথমেই সাফল্য আসেনি তাঁর জীবনে।
জানা যায়, প্রথমে এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না গানটি গাইতে একেবারেই রাজি ছিলেন না শিল্পী। গানটি লিখেছিলেন পুলক বন্দোপাধ্যায়। গানটির সংগীত পরিচালনা করার কথা ছিল নচিকেতা ঘোষের। এরপর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন “আমাদের অনুষ্ঠানে গান করতে হয়। কম রিদিমের গান আজকাল হিট করেনা।”
এরপর, এই কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুন্ন হন পুলক বাবু। নচিকেতা ঘোষকে সাফ জানিয়ে দেন নির্মলা দেবীর জন্য তিনি আর গান লিখবেন না। এদিকে নচিকেতা ঘোষও চেয়েছিলেন এই গান দুটি নির্মলা মিশ্র যাতে করেন।
এরপরেই নির্মলা মিশ্রকে শর্ত দেন নচিকেতা ঘোষ। বলেন এই গান না গাইলে তাকে আর তালিম দেবেন না তিনি। নির্মলা নিরুপায় হয়ে নচিকেতার মায়ের স্মরণাপন্ন হন।এরপর বাধ্য হয়ে তিনটে গানটি রেকর্ড করলেন নির্মলা মিশ্র। সেই গান পরবর্তী সময় ইতিহাস তৈরি করে।
তবে শুধু বাংলা নয়, একের পর এক ওড়িয়া ছবির গান গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন নির্মলা মিশ্র। বাংলায় তাঁর জনপ্রিয় গান গুলো হল, এমন ‘একটা ঝিনুক খুঁজে পেলাম না’, ‘ও আমার মন পাখি’, ‘আমায় বাঁশের বাঁশি দাও বাজাতে’, ‘ও তোতা পাখি রে’, ‘চাঁদকে নিভিয়ে রাখো’, ‘যায় রে এ কী বিরহে’, ‘সুখ যে আমার’, ‘তোমার আকাশ দু’টি চোখে’, ‘আজ কোনও কাজ নেই’, ‘আকাশে নেই তারার দীপ’।