এখনও মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ বললে যে মুখটা ভেসে ওঠে তিনি হলেন নীতিশ ভরদ্বাজ। চোখ বন্ধ করে শ্রীকৃষ্ণের কথা ভাবলেই বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’-এর এই অভিনেতার কথাই মনে পড়ে। এদিকে অভিনেতা নিজেও মনে করেন এই চরিত্র করা সৌভাগ্যেরই ফল।
মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের মত গুরুত্বপূর্ন চরিত্র করা সহজ ছিল না। দুই তিনবারের পর নীতিশ ভরদ্বাজকে পছন্দ করেছেন পরিচালক। অভিনেতাও পরিচালককে আশাহত করেননি। কৃষ্ণের চরিত্র যে হারে জনপ্রিয় হয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নীতিশ ভরদ্বাজ বলেন, “কৃষ্ণের চরিত্র পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর এটা ঈশ্বরের ইচ্ছে ছাড়া সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, এটা বিধিলিখিত। আমি ছোট থেকে হিন্দি সংস্কৃতি, বেদ, উপনিষদ, গীতা সমস্ত কিছু পড়ে বড় হয়েছি। শ্লোক আমার মুখস্থ। তো, পরবর্তীতে সেগুলো উচ্চারণ করতে আমার অনেক সুবিধা হয়। এবং কৃষ্ণের যে চারিত্রিক বিভিন্ন শেড, সেটাও করতে সুবিধা হয়েছিল।”
সর্বকালের সুদর্শন কৃষ্ণ হিসেবেই নীতিশ ভরদ্বাজ পরিচিত। এই অভিনেতাই মনে করেন এই চরিত্র করা ভাগ্যেরই লিখন। তাঁর মতে, প্রভুর চরিত্রে কেউ সহজে অভিনয় করার সুযোগ পায় না। একেই সুন্দর দেখতে তাঁর সঙ্গে অন্যান্য গুণ ছিল অভিনেতার পরিপূর্ন। আর সব মিলিয়েই মহাভারতের কৃষ্ণ হয়ে উঠেছিল অনন্য।