মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী নূর মালবিকা দাস।মুম্বইয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর পচা গলা দেহ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মালবিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গোরেগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবার তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখ খুলল অভিনেত্রীর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ৬ জুন আত্মঘাতী হয়েছেন মালবিকা।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে অসম থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন নূর। বিমান সেবিকার কাজ ছেড়ে দিয়ে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী হতে। কিন্তু মাঝে মাঝে কাজ পেলেও তেমন কাজ মিলছিল না। তাতেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভেঙে পড়ছিল আত্মবিশ্বাস। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন তিনি। এমনটাই জানাচ্ছে তাঁর পরিবার।
অভিনেত্রীর কাকা এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং সেই কারণেই তিনি জীবন শেষ করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেন। নূর অভিনেত্রী হওয়ার আশা নিয়ে মুম্বই গিয়েছিলেন এবং এর জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রমও করেছেন। আমরা বুঝতে পারতাম, মালবিকা ওঁর কৃতিত্বে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না। তাই হয়তো এমন সাংঘাতিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল।
অভিনেত্রীর বন্ধ ঘর থেকে মোবাইল, ওষুধপত্র-সহ একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মামদানি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট এনজিওর সহায়তায় রবিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।
দ্যা ট্রায়াল ছবিতে কাজলের সঙ্গে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। এছাড়াও চাটনি, জাগন্য উপয়া, চরমসুখ, দেখি আন্দেখির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। উঠতি নায়িকা কেন হঠাৎ আত্মঘাতী হলেন তাঁর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।