দূরত্ব মিটিয়ে আবারও একবার কাছাকাছি এসেছেন রাহুল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তাঁদের পোস্ট দেখে নেটিজেনদের মত, হয়ত তাদের মধ্যে দূরত্ব মিটেও মেটেনি। যদিও এর জবাব দিয়েছিলেন রাহুল। এই প্রিয়াঙ্কার থেকেই ভালোবাসা আদায় করতে বেশ কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
প্রিয়াঙ্কাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেই প্রথমে সেই পত্রপাঠ খারিজ করে দেন অভিনেত্রী। বলেন, “আমি তোমাকে ভালবাসি না। কেবল পছন্দ করি। আর পছন্দ করি বলেই তোমার সঙ্গে আমার সময় কাটাতে ভাল লাগে”।কিন্তু হাল না ছেড়ে তিনমাস লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন রাহুল।
রাহুল প্রিয়াঙ্কার বিয়ের ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। মাঝে ৬ বছর আলাদা থাকার পর ফের এক হয়েছেন তাঁরা। রাহুলকে বলতে শোনা গেল তাঁর প্রথম প্রেম থেকে শুরু করে প্রথম চুমুর কথা। কীভাবে আলাপ প্রথম প্রেমিকার সঙ্গে, কীভাবেই বা সম্পর্ক এগোলো? বিচ্ছেদ কেন হল এই সব কিছু নিয়েই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি।
একটি অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, “প্রথম প্রেমিকার নাম ছিল বুলটি। আমার প্রথম প্রেম ক্লাস ৫ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে খেলত। তারপর আলাদা হয়ে যায়। আবার ক্লাস ৯ এ ওকে যখন দেখি তখন ওকে অন্যরকম লাগে। একদম অন্যরকম। বুকে একটা কিছু হয়। ওর গানের ডাইরিকে হিংসা হতো। কারণ ও সেটা ওর বুকে জড়িয়ে থাকত আমায় নয়। ও যখন গানের ক্লাস, কোচিংয়ে যেত সাইকেল নিয়ে পিছু করতাম। চেন পড়ে যাওয়ার নাটক করে বেশিক্ষণ তাকাতাম”।
ছোটবেলার প্রথম চুমু মানেই শরীরে শিহরন। বুকের মধ্যে দুরুদুরু ভয়। আর প্রথম সব কিছুই চির স্মরণীয়। রাহুল তাঁর প্রথম চুমু খাওয়া স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, “আমরা কানা গলি খুঁজতাম যাতে কেউ না আসে, আর সেই ফাঁকে একটু চুমু খাওয়া যায়। একবার আমি আর বুলটি এমনই এক কানা গলিতে চুমু খাব, আমাদের প্রথম চুমু। কিন্তু তখন সেখানে একটি মেয়ে এত বেসুরে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিল যে আমরা হেসে ফেলি আর আমাদের প্রথম চুমু ভেস্তে যায়”। তবে বুলটি আর তিনি এখন দুজনেই বিবাহিত। নিজেদের সাংসারিক জীবনে খুশি উভয়েই।