প্রায় এক যুগ ধরে চলছে দিদি নম্বর ১। আর এখনো সেই প্রথম দিনের মতোই জনপ্রিয় রয়েছে এই অনুষ্ঠান। যদিও জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ অবশ্যই এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্যই যে এই অনুষ্ঠান আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বর্তমানে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। হুগলি থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু জানেন কি কীভাবে প্রথম অভিনয়ে এসেছিলেন তিনি? আরও একটি বিষয় যা হল এই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কিন্তু রচনা নয়।
রোজ বিকেলে এই দিদি নাম্বার ওয়ান দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন প্রতিটি ঘরের মহিলারা। আর সেই সঙ্গে কখন যেন ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন এই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন এত মহিলার জীবন সংগ্রামের কথা শোনেন তিনি। অনুপ্রেরণা জোগা়ন প্রতিযোগীদের। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে তাঁকে কোথাও যেন ভরসাও করেন প্রতিযোগীরা। কিন্তু এই সঞ্চালিকার জীবন ও খুব একটা মসৃণ নয় তার জীবনেও রয়েছে নানান টানাপোড়নের ঘটনা।
১৯৯৪ সালে মিস ক্যালকাটা হয়েছিলেন রচনা। তবে তখন তিনি তার বাবা মায়ের দেওয়া নাম ঝুমঝুম টাই ব্যবহার করতেন। এরপর মিস ইন্ডিয়াতেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। যদিও তাতে সফল হতে পারেননি। এরপর একদিন সে তার বাবার সঙ্গে সুখেন দাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা উপমন্যু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্রেই সুখেন দাস ছিলেন তাঁর বন্ধু।
এরপর, সুখেন দাসের সঙ্গে রচনার আলাপ করিয়ে দেন তাঁর বাবা। সুখেন বাবু জানান, ঝুমঝুম না পরিবর্তন না করলে অভিনয় করা যাবে না। সেই মতোই পরিবর্তিত হয় নাম। সুখেন দাস জানান, ‘এত না খুঁজে রবীন্দ্র রচনাবলীর থেকে রচনা নামটা নিয়ে নিলেই তো হয়’! সেখান থেকেই ঝুমঝুম হয়ে ওঠেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর সুখেন দাসের ‘দান প্রতিদান’ ছবিতে অভিনয় করেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রচনা। কিন্তু তারপর বাংলায় ফের ভালো ছবির সুযোগ না পেয়ে দক্ষিণী ছবি করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। এরপর ফের বাংলায় ফিরে এসে প্রসেনজিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি উপহার দেন তিনি বাংলার দর্শকদের।