এখন সকলের দিদি বলেই পরিচিত তিনি। বলিউড থেকে টলিউড কাঁপিয়েছেন নিজের অভিনয় দক্ষতার গুনে। কথা হচ্ছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে। এছাড়াও একাধিক আঞ্চলিক ভাষার ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তেও বিশেষভাবে সাড়া ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এক সময় ছোট পর্দাতে মুখ দেখাতে একেবারেই রাজি ছিলেন না অভিনেত্রী। কোনও ভাবেই টেলিভিশনের ছোটপর্দায় কাজ করতে চাইতেন না তিনি।
আজ থেকে ১৩ বছর আগে জি বাংলা থেকে ডান্স বাংলা ডান্স রিয়্যালিটি শো এর বিচারক হওয়ার প্রস্তাব গিয়েছিল তাঁর কাছে। প্রথমে প্রস্তাব নাকচ করে দেন তিনি। কিন্তু পরে মিঠুন চক্রবর্তী সেখানে আছে দেখে মত পরিবর্তন করেন তিনি। এরপরেই তার কাছে যায় দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনার প্রস্তাব। সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েছিলেন এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে। ব্যাস সেই শুরু।
প্রায় এক যুগ ধরে চলছে দিদি নম্বর ১। আর এখনো সেই প্রথম দিনের মতোই জনপ্রিয় রয়েছে এই অনুষ্ঠান। যদিও জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ অবশ্যই এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্যই যে এই অনুষ্ঠান আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
রোজ বিকেলে এই দিদি নাম্বার ওয়ান দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন প্রতিটি ঘরের মহিলারা। আর সেই সঙ্গে কখন যেন ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন এই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন এত মহিলার জীবন সংগ্রামের কথা শোনেন তিনি। অনুপ্রেরণা জোগা়ন প্রতিযোগীদের। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে তাঁকে কোথাও যেন ভরসাও করেন প্রতিযোগীরা।
মাঝে দুবার ছয় মাসের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন একবার জুন মালিয়া ও একবার দেবশ্রী রায়কে সঞ্চালনার ভার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দর্শক তাদের ভালো মত নেয়নি।সকলেই বারে বারে চেয়েছিলেন যেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেরত আসেন। চ্যানেলও যথারীতি তাই করেছিল।