প্রায় এক যুগ ধরে চলছে দিদি নম্বর ১। আর এখনো সেই প্রথম দিনের মতোই জনপ্রিয় রয়েছে এই অনুষ্ঠান। যদিও জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ অবশ্যই এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জন্যই যে এই অনুষ্ঠান আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেই সঙ্গেই নিজের মাতৃত্বের দায়িত্বও একা হাতেই পালন করে যাচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, শুটিং শেষ করেই কিভাবে বাড়িতে যেতেন তিনি তাই নিয়ে এবার রহস্য ফাঁস করলেন সুদীপা। একবার দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন তিনি। এসেই জানালেন রচনার সম্পর্কে এই তথ্য।
অভিনেত্রী বলেন, “আমার আর রচনাদির রূপসজ্জার ঘর পাশাপাশি ছিল। দিদির ঘরে একটি বোরখা টাঙানো থাকত। এক দিন আগ্রহের বশে এক জনকে জিজ্ঞেস করি এখানে এই বোরখাটা ঝুলছে কেন”? তখনই তিনি জানতে পারেন রৌনককে পড়ানোর জন্য, ওকে সময় দেওয়ার জন্য বিশেষ পন্থা বার করেছেন রচনা। রোজ শুটিং সেরে বোরখা পড়ে মেট্রোয় করে কালীঘাট আসতেন তিনি। এরপর সেখানে তার দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি নিয়ে বাড়ি পৌঁছতেন।
রোজ বিকেলে এই দিদি নাম্বার ওয়ান দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন প্রতিটি ঘরের মহিলারা। আর সেই সঙ্গে কখন যেন ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন এই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন এত মহিলার জীবন সংগ্রামের কথা শোনেন তিনি। অনুপ্রেরণা জোগা়ন প্রতিযোগীদের। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে তাঁকে কোথাও যেন ভরসাও করেন প্রতিযোগীরা। কিন্তু এই সঞ্চালিকার জীবন ও খুব একটা মসৃণ নয় তার জীবনেও রয়েছে নানান টানাপোড়নের ঘটনা।
বিবাহিত জীবনে সুখী নন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকেন তিনি। তবে তাদের ডিভোর্স হয়নি কোনদিন। ডিভোর্স না হয়েও কেন আলাদা থাকেনা অভিনেত্রী তার স্বামীর থেকে। এই নিয়ে অবশ্য কোনরকম রাগ দাগ না রেখেই সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও তিনি জানান, তার স্বামী তার ছেলের প্রতি যথেষ্ট যত্নবান। ছেলের সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। পরীক্ষার সময় তার স্বামী এসে তার ছেলেকে পড়ান। আবার তারা একসঙ্গে ঘুরতেও যান খাওয়া দাওয়া করেন। আর পাঁচটা স্বাভাবিক পরিবারের মতোই সময়ও কাটান বিশেষ বিশেষ দিনে।