রামায়ণ তৈরির উদ্দেশ্য একটাই! পোস্টার প্রকাশ করেই অন্দরের কথা লিখলেন পরিচালক

Published on:

রামায়ণ তৈরির উদ্দেশ্য একটাই! পোস্টার প্রকাশ করেই অন্দরের কথা লিখলেন পরিচালক

ফের বড় পর্দায় আসছে রামায়ণ। গত বছর ‘আদিপুরুষ’ বির্তকের পর থেকে এই ছবি নিয়ে বেশ সাবধানী পরিচালক। যদিও ছবিতে কাদের নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন পরিচালক। বিগ বি অমিতাভ বচ্চনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। চমকের এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, রণবীরকেও এই সিনেমায় দ্বৈত ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। এবার এই ছবি মুক্তির দিন প্রকাশ্যে এল।

দু’টি ভাগে মুক্তি পাবে এই ‘ম্যাগনাম ওপাস’। প্রথমটি ২০২৬ সালের দীপাবলিতে। দ্বিতীয়টি পরের বছর দীপাবলিতে। যে পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আগুনের ঝলকে একটি বাণ আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে লেখা, প্রায় ৫০০০ বছর আগের যে মহাকাব্য কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছে, তাকে নিয়ে ছবি করার স্বপ্ন দেখিছিলাম প্রায় এক দশক আগে। আমাদের দলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ তা একটা রূপ পেতে চলেছে, আমি খুবই উত্তেজিত। উদ্দেশ্য একটাই, আমাদের ইতিহাস, আমাদের সত্য, আমাদের সংস্কৃতি— রামায়ণকে বিশ্ব দরবারে সর্বাধিক প্রামাণ্য, পবিত্র এবং দৃশ্যত চমকদার করে উপস্থাপন করা।

   
 ⁠

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে সেখানে রামের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে। পাশাপাশি অভিনেত্রী সাই পল্লবীকে দেখা যাবে সীতার ভূমিকায়। অমিতাভ বচ্চনকেও নাকি অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরপরই জল্পনা তৈরি হচ্ছে তাঁকে কোন চরিত্রে দেখা যেতে পারে।

  
 ⁠

শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে জটায়ুর চরিত্রে কণ্ঠ দেবেন বিগ বি। জটায়ুর এই চরিত্রটি আসলে ভিজ্যুয়াল এফেক্টের মাধ্যমে তৈরি করা হবে। তার নেপথ্যেই হয়তো অমিতাভের কণ্ঠ শোনা যাবে। এদিকে পাহাড় প্রমাণ বাজেট নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। রামায়ণের শুধু পার্ট ওয়ান তৈরির খরচ শুনলেই চোখ কপালে উঠবে।

জানা গিয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো হচ্ছে কেবল রামায়ণের পার্ট ওয়ান। যা ভারতীয় ছবির ইতিহাসে আগে হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে জানানো হয়েছে বিশ্বমানের ছবি বানাতে কোনও ফাঁকি দিচ্ছেন না নির্মাতারা।

৮৩৫ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। হিন্দি ছবির ক্ষেত্রে একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করে ৮৩৫ কোটি খরচ করে বানানো হচ্ছে রামায়ণ। শোনা যাচ্ছে, লন্ডন ও মুম্বই মিলিয়ে ১২০ দিন ধরে শুটিং হবে। শ্যুটিং হওয়ার পর ৬০০ দিন ধরে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলবে।