সোহিনীর বিয়ের খবরে মন ভেঙেছে রনজয়ের। অন্তত অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়া তেমনটাই বলছে। একদিকে যখন সোহিনীর বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রণজয়ের শুধুই বিরহের পোস্ট। আর এই নিয়েই নেটিজেনদের একাংশের অনুমান প্রাক্তনের বিয়ের আভাস পেয়ে মুশরে পড়েছেন রণজয়।
১৮ জুলাই বিয়ের দিনক্ষণ পাকা হয়েছে শোভন ও সোহিনীর। প্রকাশ্যে নিজেদের সম্পর্কের কথা কখনোই শিকার না করলেও বারবার বিভিন্ন রকম ভাবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা সম্পর্ক রয়েছেন। এরপর এই কিছুদিন আগের শোভনের আরো এক আদুরে পোস্ট উসকে দিয়েছে এই জল্পনাকে।
এদিকে এর মধ্যেই প্রাক্তনের বিয়ের খবর পেয়ে মনমরা হয়েছেন রনজয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্টে কেবলই বিষন্নতা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি যেখানেই কাউকে ধরে রাখতে চাইছি, সে চলে যাচ্ছে।” প্রাক্তনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, “খুব ভালো হোক। সবটা খুব ভালো হোক। আমি যদি কারুর সঙ্গে ভালো মুহূর্ত কাটিয়ে থাকি, তাহলে চাইব আমাদের একসঙ্গে না থাকার কারণটাকে সম্মান জানানো। তাঁর জীবন, তাঁকে এবং তাঁর পার্টনারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে সম্মান করা উচিত। কিছু কিছু জিনিস ভালোলাগা-খারাপলাগার উর্দ্ধে হয়”।
এর আগেও রণজয় বলেছিলেন, ” কাউকে যদি জীবনে ভালবাসি, সে আজ না থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে গিয়ে খুনোখুনি মারামারি করব? যে যেখানেই থাকুন, যার সঙ্গে থাকুক, যেন ভাল থাকে।ব্যস, এটাই চাওয়া”।
রণজয় জানিয়েছিলেন, এক সময় যাঁকে ভালোবেসেছিলেন আজ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে বদনাম করবেন এমন মানসিকতার মানুষ তিনি নন। রণজয় জানান, “প্রাক্তন কখনওই বন্ধু হয় না। তাঁর সঙ্গে যে অন্তরঙ্গতার সম্পর্ক থাকে, সেটা পুরোপুরি ভুলে স্রেফ বন্ধু থাকা সম্ভব হয় না। আমি সোহিনীকে এক্কেবারেই খারাপ চোখে দেখতে পারি না। একটা সময় তাঁকে আমি ভালবেসে কাছে টেনে নিয়েছিলাম। তখন খারাপ কিছু বলিনি। আর আজ যখন সম্পর্কটা নেই, ওকে খারাপ কথা বলে অসম্মান করব না। সেই রুচির মানুষ আবার আমি নই”।