মাসের ওই পাঁচটা দিন মেয়েদেরকে নানান ছুঁতমার্গে বেঁধে রাখার চেষ্টা করা হয়। আগেকার দিনে এই মন থেকে প্রকট থাকলেও এখন অনেকটাই শিথিল। তবে শুধু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেই নয় সেলিব্রেটিরাও পরিস্থিতির শিকার হয়। এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন এষা দেওল।
ছোটবেলার স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বলেন, “ঋতুস্রাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা। আমাদের মন্দিরে যাওয়া বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা নিষেধ ছিল ঋতুস্রাবের সময়ে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পরে স্নান করে ও মাথার চুল ধুয়ে আবার পুজো করার অনুমতি মিলত। জানি এটা প্রগতিশীল ভাবনা নয়। কিন্তু যে বাড়িতে আমি থাকছি তার নিয়ম তো আমাকে মানতেই হবে”।
এছাড়াও তাঁর দিদিমাও খুব কড়া ছিলেন বলে জানান তিনি। বলেন, বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা ছিলেন তিনি। ছোট পোশাক পড়া একেবারেই পছন্দ করতেন না। যখনই বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে আসতেন অভিনেত্রী, ভাল করে খতিয়ে দেখতেন কারা কারা এসেছে। বন্ধুরাও খোলামেলা পোশাক পরে আসতে পারত না। বেশি রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
অভিনেত্রী জানান, তাঁদের স্কুলেই যৌনশিক্ষার পাঠ দেওয়া হয়। এষার কথায়, “আমাদের স্কুলে যৌনশিক্ষা দেওয়া হত সঠিক সময়ে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন অভিভাবকেরা তো থাকেনই যাঁরা অস্বস্তি বোধ করেন এগুলো নিয়ে কথা বলতে”। আর বাড়ির এত কড়া মনোভাবের জন্য তিনি মিথ্যা কথা বলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেতেন।