পাঠানের পর ফের একবার বিগ বাজেটের ছবি নিয়ে এসেছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। বাদশার এই ছবিতে ঝড় উঠেছিল বক্স অফিসে। আনন্দে আত্মহারা ফ্যানরাও। চার বছর পর প্রথমে পাঠান পরে জওয়ানের মধ্যে দিয়ে নিন্দুকদের জবাব দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। তবে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় এই জওয়ানেই ঋতাভরী চক্রবর্তীর লেখা ডায়লগ বলেছেন শাহরুখ খান। আর তারপরে আনন্দে আপ্লুত এই বঙ্গ অভিনেত্রী।
জওয়ান ছবিতে সবথেকে জনপ্রিয় হয়েছে সংলাপ। প্রতিটা ডায়লগে হাততালিতে ফেটে পড়েছে হল। দর্শকদের মুখে মুখে ফিরছে শাহরুখের ডায়লগ। আর এই সংলাপ খানিকটা লিখেছেন ঋতাভরী। ঋতাভরী চক্রবর্তী জানান রেকর্ড ব্রেকিং এই জওয়ান টিমের একজন সদস্য তিনি নিজেও।
ছবিতে শাহরুখকে একটি কবিতা বলতে শোনা যাচ্ছে। শাহরুখ লিখেছেন, “ছেলে তো ছেলে, বাপ রে বাপ, এবার আর থামবে না”। সেই শাহরুখের শেয়ার করার টিজারটি আরো একবার শেয়ার করে ঋতাভরী চক্রবর্তী জানান, এই কবিতা তার লেখা।
বঙ্গ অভিনেত্রী জানান, “আমি কৃতজ্ঞ যে শাহরুখ খানের প্রোমোর জন্য আমি এই লাইনগুলো লিখতে পেরেছি। সঙ্গে ছিলেন আমার ভালো খারাপ দুই সময়েরই ক্রিয়েটিভ পার্টনার সুমিত আরোরা। সুমিতই জওয়ানের সংলাপ লিখেছে। আমি দেখেছি, গত ২ বছর ধরে সুমিত ওর মাথা, মন সব দিয়ে দিয়েছে আমাদের সকলের প্রিয় হিরোর জন্য। এই ম্যাগনাম ওপাস তৈরি করার জন্য”।
তিনি আরও লেখেন, “আমি দেখেছি কীভাবে ও শাহরুখ স্যারের বাড়ির সদস্য হয়ে উঠেছে। তোমাকে নিয়ে গর্বিত আরোরা। তাই যখন সেই মানুষটা আমাদের ব্রিফ দেয় আর এক ঘণ্টারও কম সময়ে আমরা সেই কবিতা লিখি আর সেই মানুষটা তাঁর ম্যাজিক্যাল কন্ঠে ফোনে রেকর্ড করে পাঠায়, সেটাই আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। জওয়ানের এই সমুদ্র সমান কাজের একটা অংশ আমাকে বানানোর জন্য সুমিতকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি শাহরুখ জানিয়েছেন তিনি মনে করেন রাইটারের নাম সুমিতের থেকে অনেক বেশি ভালো ঋতাভরী। সবকা বাপ নে বোল দিয়া”।