ঘটনার সময় কলকাতায় ছিলেননা মুনমুন সেন এবং রাইমা। তবে খবর পেয়েই দিল্লি থেকে ছুটে এসেছেন মুনমুন সেন এবং রাইমা সেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে রিয়ার পাশে দাঁড়ান। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার স্মৃতি চারণের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কৃতজ্ঞতা জানান।
মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা প্রয়াত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁর দুই মেয়ে রিয়া ও রাইমা। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বাবার মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়া লেখেন, “আমরা আপনার সহমর্মিতা থেকে শক্তি পাই বারংবার। আপনার কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা পরিবার হিসাবে পাশে থাকার জন্য…”। গতকাল মুনমুন সেন জানিয়েছিলেন, “যে আমাদের চালাত, সেই চলে গেল। এখন থেকে আমাদের জীবনটাই বদলে গেল”। রাইমাকে আফসোসের সুরে বলতে শোনা যায়, “শেষ সময়ে বাবার সঙ্গে থাকতে পারলাম না। খুব মিস করব”।
জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার সকালে থেকেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জামাই। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই সুযোগ আর পাওয়া যায়নি। নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য।খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মেয়েকে নিয়ে শহরে ফেরেন মুনমুন সেন।
এদিন খবর পাওয়া মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছান মুনমুনের বালিগঞ্জের বাড়িতে। সেখানে তিনি বলেন, ভরতদা খুব ভাল মানুষ ছিলেন। খুব অমায়িক লোক ছিলেন। এটা খুব বড় ক্ষতি। এমন কিছু বয়সও হয়নি তাঁর। আচমকাই মারা গিয়েছেন। ওঁরা বলছে স্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছেন। একজন শুভাকাঙ্ক্ষীকে এবং আমার এক আত্মীয়কে হারালাম। মুনমুন, রাইমা ফিরে আসুক ভালভাবে।