দুই বছরের ছেলেকেও মদ খাওয়াত মহুয়া! সহকর্মীকে নিয়ে বিস্ফোরক রত্না ঘোষাল

Avatar

Published on:

দুই বছরের ছেলেকেও মদ খাওয়াত মহুয়া! সহকর্মীকে নিয়ে বিস্ফোরক রত্না ঘোষাল

হাতের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ১৯৮৫ সালের ২২ জুলাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরী। ৮০ শতাংশ ঝলসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হলেও সেই ঘটনা নিয়ে এখনো রহস্য থেকেই গিয়েছে। ৩৯ বছর পরেও মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু আত্মহত্যা, খুন নাকি নিছক দুর্ঘটনা? উত্তর মেলেনি। এবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তাঁরই সমসাময়িক বন্ধু রত্না ঘোষাল।

মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল মহুয়া রায়চৌধুরীর। শোনা গিয়েছিল, ছেলে তমালের দুধ গরম করতে গিয়ে মদের নেশায় চুর ছিলেন মহুয়া। এর জেরেই ঘটে বিপত্তি। তবে বাবার বাড়িতে অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে মুক্তি পেতে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেখানেও সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। হানিমুন পর্ব কাটতে না কাটতেই স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ওঠে জীবন।

   
 ⁠

রত্না ঘোষাল বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, “মৌ মদ খেতে খুব ভালোবাসত। গোলাকেও খাওয়াতো। আমি বলতাম, তোরা খাচ্ছিস খা, বাচ্চাটাকে খাওয়াচ্ছিস কেন? বলত, ওর বাবা-মা খায় ও খাবে না? তখন কত বয়স হবে গোলার দু থেকে আড়াই বছর”।

  
 ⁠

কিন্তু রত্না ঘোষালের এই মন্তব্যের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। তবে এই প্রশ্নের এই পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “নিজের চোখে দেখা ঘটনা মিথ্যা বলতে যাব কেন। আমার বাড়িতে বসে, আমার সঙ্গে মদ্যপান করত মৌ। অনেক সময় ওঁর স্বামী তমাল চক্রবর্তী ও গোলাও থাকত। ওর ছেলের বয়স তখন দু’বছর। আড্ডা দিতে দিতে মহুয়া অনেক সময়ই ছেলেকে চামচে করে মদ খাইয়েছে”।

অভিনেত্রীর মৃত্যুর জন্য তাঁর বেপরোয়া জীবনকেই দায়ী করেছেন তিনি। অভিনেত্রী শেষ জীবনের নাকি বাংলাদেশ থেকে ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। আর তাই নিয়েই মত্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু ভিসা না মেলায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন। বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মদ্যপান। তখনই অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটে মৃত্যু হয় তাঁর।

পেশাজীবনের এই না-পাওয়ার যন্ত্রণা আরও তীব্র ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েনে অকালেই শেষ হয়েছিল সম্ভাবনাময় জীবন। ইন্ডাস্ট্রি বলে, তৎকালীন নায়িকাদের মধ্যে তিনি বেপরোয়া, একরোখা, ঠোঁটকাটা, জেদি এবং দুঃসাহসী। তার ছাপ পড়েছিল ব্যক্তিজীবনেও। মহুয়া বিব্রত ছিলেন নিজের জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে।বাবা বিয়েতে বাধা দেওয়ায় অভিমানী মেয়ে গলায় দড়ি দিতে গিয়েছিলেন। যত বার তিলকের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে, তত বার তিনি হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করতে গিয়েছেন। প্রমাণের অভাবে পুলিশি তদন্ত এক সময় থেমে গিয়েছে। ৩৯ বছর পরেও তাই মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু রহস্যাবৃত।