‘চিন্তা ছিল মেয়েকে নিয়ে, যা সহ্য করেছে’! কেকের প্রসঙ্গ উঠতেই কেঁদে ফেললেন রূপঙ্কর

কেকের মৃত্যুর পর চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল রূপঙ্করের মন্তব্য কে ঘিরে। বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে থানার দারস্ত হতে বাধ্য হয়েছিলেন গায়ক এবং তার পরিবার। মৃত্যু হুমকি পাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাই ফের স্মরণ করলেন সস্ত্রীক গায়ক।
কেকের মৃত্যুর পর রূপঙ্করের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে কেকে কে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রূপঙ্কর বাগচী। আর এই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এরপর বাধ্য হয়ে রূপঙ্কর বাগচী একটি সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের মনের কথা জানান। কোনভাবেই প্রয়াত গায়ককে তার অপমান করার অভিপ্রায় ছিল না বলে জানান তিনি।
কারওর মন্তব্য এমন ছিল ঈর্ষার চোটে এই কাজ করেছিলেন তিনি। কেকের মৃত্যুর পর থেকেই রূপঙ্কর এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে নানা মন্তব্য, অকথ্য গালিগালাজ। শিল্পীর শো বাতিল হতে থাকে প্রতিনিয়ত। আজও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ছেড়ে কথা বলে না অনেকেই।
এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে রূপঙ্কর জানান, ” মেয়েকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম আমাদের মেয়েকে নিয়ে। ও কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে এই সিচুয়েশনে। কারণ, ওকেও এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে যা কোনও বাবা-মা চাইবে না তার সন্তান ফেস করুক।”
গায়কের স্ত্রী জানান, “আমি রূপঙ্করের পাশে আছি, থাকব। শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। কখনও ভয় লাগেনি। কোথায় পৌঁছে যাব? বা কী হবে? একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে হ্যাঁ, সময়টা খুব খারাপ গিয়েছে। আর এমন অবস্থায় যেন কাউকে পড়তে না হয়”।
প্রসঙ্গত, কেকের মৃত্যু বার্ষিকীতেও সমবেদনা জানিয়েছেন চৈতালি দেবী। রূপঙ্কর বাগচির স্ত্রী চৈতালি দেবী জানিয়েছিলেন, “সবটাই সময় সাপেক্ষ। সময় প্রবহমান। স্বাচ্ছন্দ্যের থেকে শান্তিই বেশি প্রিয়। কেকের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।”