সুন্দরের পূজারী আমরা সবাই। নিজেদেরকে সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি। কত টাকাও খরচ করি। তাও মনমতো সৌন্দর্য যেন অধরা থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে বাইরের প্রসাধনীর দ্রব্য ব্যবহার করেও কোন সুরাহা হয় না। তবে যদি রান্না ঘরের এই উপকরণ ব্যবহার করা যায় তবে ত্বক হবে আরও উজ্জ্বল।
ত্বকের নিজস্ব তেল উৎপাদনের পরিমাণ কমে যাওয়ার পিছনে আবার অনেক থাকে। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা একেবারেই জিনগত, কারও ক্ষেত্রে বয়সজনিত। আবার, পরিবেশ দূষণের কারণেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে কিংবা অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করলে বা দীর্ঘ ক্ষণ চড়া আলোতে থাকলেও ত্বক জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে।
সৈন্ধব লবণই এখন ব্যবহার হচ্ছে ত্বকের যত্নে, মুখে লালিত্য ফেরাতে। নানান ধরনের খনিজে পরিপূর্ণ এই নুন খাদ্যে ব্যবহার করতে বলেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা। এই নুন এবার ত্বকের পরিচর্যাতেও দারুন উপযোগী।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে সৈন্ধব লবণ মিশ্রিত জল। সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ জল যেমন ত্বক থেকে দূষিত উপাদান দূর করে। পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। এটি অত্যন্ত ভাল প্রাকৃতিক স্ক্রাব।
নুনের গুণে ব্যাক্টিরিয়া, জীবাণু ত্বকে প্রবেশ করতে পারে না। ত্বক তার ঔজ্জ্বল্যতা ধরে রাখতে পারে। ছোটখাটো সংক্রমণও ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে এই নুন-জল। সব কিছুর মাত্রা ঠিক থাকলে ত্বক হবে ঝকঝকে, কোমল।
ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রণ-সহ নানাবিধ খনিজ থাকে এই সৈন্ধব লবণে। চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ সৈন্ধব লবণ তামার পাত্রে রাতভর ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল দিয়ে মুখ ধুলেই লাবণ্য ফিরবে। ত্বকে ফিরবে জেল্লা।