হেমা মালিনীকে পেছনে ফেলে পাবলিক ডিমান্ডে ফিরে এসেছিলেন এই মহিষাসুরমর্দিনী! জানুন সংযুক্তার অজানা কাহিনী

হাতে গোনা আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ পড়তে শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে পুজোর আগেই আরো একটি জিনিস অবশ্য বাঙালির আবেগকে প্রশয় দেয়। আর তা হল মহালয়া। এখন মহালয়া মানেই দুর্গা হিসেবে নিত্য নতুন মুখের আনাগোনা। কিন্তু ৯০ এর দশকে মহিষাসুরমর্দিনী মানেই একটাই মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠত।
প্রতিবছরই টিভি চ্যানেল গুলো একেক জন তারকাকে দুর্গা বানিয়ে তাক লাগায়। তাই দর্শকরাও বেশ কৌতুহলী থাকে কোন বছর কোন চ্যানেল কাকে দুর্গা করছে তা দেখতে। এছাড়াও কোন চ্যানেলের দুর্গা কেমন পারফর্ম করলো, কোন চ্যানেলের মহালয়া বেশি ভালো হলো তাই নিয়েও চলে জোর টক্কর। তবে শুধু এখন টক্কর চলত সেকালেও। আর তাতেই খোদ হেমা মালিনীকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মারপিটের দৃশ্যে সত্যিই হাত চালান রঞ্জিত মল্লিক! বেল্ট ম্যানকে দেখলেই ভয়ে কাঁপেন এই ভিলেন
১৯৯৪ সালে মহালয়ায় কলকাতা দূরদর্শনে প্রথম দুর্গা হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপরের বছর অবশ্য হেমা মালিনীকে দুর্গা করা হয়েছিল। কিন্তু দর্শকরা ধর্মেন্দ্র পত্নীকে তেমন ভাবে মেনে নিতে পারেননি। তাই তার পরের বছর ফের সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মহিষাসুরমর্দিনী রূপে ফিরিয়ে আনা হয়।
জানা যায়, তখন কলেজ গার্ল তিনি। হঠাৎ করেই বাড়িতে একটি ফোন আসে। ফোনটি করেন তার গুরুজি গোবিন্দন কুট্টি। প্রস্তাব যায় মহিষাসুরমর্দিনী হওয়ার। এরপরের গল্প টা সকলেরই জানা। ১৮ বছরের মেয়ের তেজ, দৃপ্তভাবে অবাক হয়ে যান সকলেই। এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “মাটির তৈরি ৮টা হাত বেঁধে পারফর্ম করতাম। আমার তো প্রথম প্রথম অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। পরবর্তীকালে কুমোরটুলি থেকে শিল্পীদের নিয়ে আসা হয়। তাঁরা ফাইবারের হাত তৈরি করে দেন। কত রকমের চ্যালেঞ্জ ছিল”।
আরও পড়ুন: নভেম্বরেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন শ্রীপর্ণা! হবু বরটি কে জানেন?
আজ স্বামী সন্তান নিয়ে বিদেশে সংসার করছেন তিনি। মহালয়াও হয়ত দেখেন প্রবাসে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোন মহালয়া তার মন কাড়ে সেটা অবশ্য তর্কের বিষয়। তাদের সময়ের মহালয়া আর আজকের মহালয়ার এই পার্থক্য কতটা তাকে নাড়া দেয় সেটাও অবশ্য প্রশ্ন চিহ্ন তুলেই দেয়।