শাশুড়ি বিকিনি পড়া ছবি দেখলেই বিপদ! নিজেকে বাঁচাতে শর্মিলা ঠাকুর ঘটিয়েছিলেন এই কাণ্ড

আজকালকার হালফিলের যুগে বিকিনি পড়া খুব সাধারন ব্যাপার। কিন্তু ষাটের দশকে বিকিনি পড়া মানেই ছিল একটা ভীষণই হইচই কান্ড। অভিনেত্রীদের বাড়ি থেকেও আসতো ব্যাপক আপত্তি। সেই রকমই শর্মিলা ঠাকুরের বিকিনি পরা ছবি যাতে তার শাশুড়ি দেখে না ফেলেন সেই জন্য মারাত্মক এক কান্ড ঘটিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ষাটের দশকে সিনেপর্দায় বিকিনি লুকে আগুন ঝরিয়ে ছিলেন বঙ্গ তনয়া শর্মিলা ঠাকুর। ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল নীল রঙের বিকিনি পড়তে। কিন্তু সেই ছবি যাতে তার রক্ষণশীল পরিবারের শাশুড়ি দেখে না ফেলে সেই জন্য এক মারাত্মক কান্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকার অভিনেত্রী জানিয়েছেন, স্বামী মনসুর আলি খান পতৌদি তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন এই বিকিনি পড়ার ক্ষেত্রে। এমনকি জানিয়েছিলেন তাকে যে খুব সুন্দর লাগবে এই পোশাক পড়ে সে বিষয়েও তিনি নিশ্চিত। তবে তার ভয় ছিল তার শাশুড়িকে নিয়ে।
নবাব পত্নী বলেন, “গোটা শহর নয়, তবে আমি যে এলাকায় থাকতাম সেখান থেকে সমস্ত পোস্টার ছিড়ে ফেলার নির্দেশ আমি আমার ড্রাইভারকে দিয়েছিলাম, কারণ আমার শাশুড়ি মা সাজিদা সুলতান এসেছিলেন। সেই সময় আমাদের বিয়ে হয়নি, বাগদান হয়েছিল মাত্র। ছবির পোস্টারে শাম্মি কাপুর সামনে দাঁড়িয়ে, আমি তাঁর পিছনে। ওঁনার শরীর আমার ছবিটা খানিকটা আড়াল করেছিল, তবে আমার খোলা পা, হাত এগুলো দেখা যাচ্ছিল। সেই পোস্টার সরিয়ে ফেলতে আমার ড্রাইভার মাঝরাতে বেরিয়েছিল। কিন্তু রাস্তায় নিশ্চয় আম্মা আমার সেই পোস্টার দেখে ফেলেছিলেন”।
সত্যজিতের ‘অপুর সংসার’-এর অপর্ণা জানান, তাকে কেউ কখনো জোর করেনি বিকিনি পড়ার জন্য। তিনি নিজের ইচ্ছেতেই ছবির দৃশ্যের প্রয়োজনে এই পোশাক পড়েছিলেন। তবে একটা কাপড়ের টুকরো নিয়ে এত বিতর্ক হতে পারে, এই ধারণা ছিল না শর্মিলার।