টলিউডে যে কজন সিঙ্গেল মাদার সন্তানদের নিজের হাতে বড় করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম শতরূপা স্যান্যাল। ঋতাভরী, চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী দুজনেই সফল অভিনেত্রী। কিন্তু এই দুই মেয়েকে বড় করতে গিয়ে বহু চড়াই উৎরাই পাড় করতে হয়েছে তাঁকে। এতদিন পর মেয়েদের ছোটবেলার ছবি দিয়ে ফের একবার স্মৃতি রোমন্থন করলেন তিনি।
ছোটবেলায় শান্তিনিকেতনে পড়ার শখ ছিল শতরূপার কিন্তু কোনও কারণে তা হয়ে ওঠেনি। তবে সেই শখ তিনি বড় মেয়ের মধ্যে দিয়ে পূরণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যদিও নিজেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এখন শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়ে ফের একবার পুরোনো স্মৃতির পাতায় ডুব দিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন,
“তিতিন আমার বড় মেয়ে। পোষাকি নাম চিত্রাঙ্গদা। ও যখন আমার কোলে এলো, আমি চিত্রাঙ্গদা ছাড়া অন্য কোন নাম ভাবিনি। রবি ঠাকুরের চিত্রাঙ্গদা আমার সেই নাম সন্ধানের প্রেরণা। আর পাঁচজন মায়ের মতন আমিও নানা স্বপ্ন বুনে চলতাম মেয়ের শিক্ষা দীক্ষা ভবিষ্যৎ ইত্যাদি নিয়ে। আমার যা করা হয়নি, যা পাওয়া হয়নি, চাইতাম ও যেন সেগুলো করতে পারে”।
নিজের একাকী মাতৃত্বের কথাও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, “তিতিনের যখন সাত বছর বয়স, ওদের দুই বোনকে বুকে করে আমি চিরকালের জন্য নিজের হাতে গড়া সংসার ছেড়ে চলে এলাম মা বাবার কাছে। তখন কাজ খুঁজছি, যে কোনো একটা চাকরি, যাতে মেয়ে দুটোকে মানুষ করতে পারি । আমার সেই গোপন পুরনো ইচ্ছেটা মনের মধ্যে ভেসে উঠল । তিতিন যদি আমার সেই শান্তিনিকেতনে পড়ার ইচ্ছেটা সাকার করে”।
মেয়েদের সঙ্গে বরাবরই খোলামেলা তিনি। দুই মেয়েকে বন্ধুর মতো করেই বড় করেছেন তিনি। মায়ের সঙ্গে একেবারে বন্ধুর মতো করে মিশেছে। পূর্ন স্বাধীনতা দিয়েছেন মেয়েদের। মেয়েরাও আজ নিজেদের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।
অভিনেত্রীর মা জানান, সমাজে একজন সিঙ্গেল মাদারকে যতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাঁকেও সেই সব একই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে তিনজনের সংসারে কোনোদিন কিছুই তাঁদের গোপন ছিল না। ভীষণ কাছের হয়েই সময় কাটিয়েছে তাঁরা।