তাকে দেখে অনেকেই মনে করেন তার প্রচন্ড অহংকার। রয়েছে অ্যাটিটিউড প্রবলেম। কিন্তু এই ভাবেই খুশি গায়িকা সোমলতা আচার্য। তবে তার কথা কম বলার স্বভাবের জন্য হয়তো কাজ তিনি কম পান বলেও আক্ষেপ করেছেন গায়িকা। যদিও তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন তিনি।
সোমলতা আচার্যের গলায় রবীন্দ্র সংগীত যেন একটা আলাদাই মাত্রা পেয়েছে। গিটার হাতে কখনো মায়াবন বিহারিনী হোক কিংবা জাগরনে যায় বিভাবরী, মোহিত করেছে শ্রোতাদের। স্টেজে উঠে তার রবীন্দ্র সংগীত কিংবা আধুনিক গান দর্শকদের টেনে রাখতে পারে বহুক্ষণ। কিন্তু এই গায়িকার জীবনে এসেছিল একসময় দারুণ বিপর্যয়। যা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লেগেছিল অনেকটাই বেশি।
তখন সালটা ২০১৮। সিওপিডির রোগী ছিলেন গায়িকার বাবা। একদিন গায়িকা শো করতে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। ঠিক সেই সময় মঞ্চে গান গাওয়ার সময় খবর পান তার বাবা মারা গিয়েছেন। সেই অবস্থাতেই নির্ধারিত প্রত্যেকটি গান গেয়ে তারপরে মঞ্চ ছেড়েছিলেন তিনি।
প্রায় এই একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ২০২১ সালে। ২০২০ সালে সোমলতার মায়ের ধরা পড়েছিল এক বিরলতম রোগ। এই ঘটনার প্রায় এক বছর পর মারা গিয়েছিলেন গায়িকার মা। ঠিক সেই সময়তেও তিনি মঞ্চে গান গাইছিলেন। আর তখনই এসেছিল মায়ের মৃত্যুর খবর। সেই সময়তেও মঞ্চে প্রত্যেকটি গান গেয়ে তারপর স্টেজ ছেড়েছিলেন সোমলতা।
গায়িকার কথায়, “কম মেশার জন্য অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছে।অকপটে তিনি বলেন আর একটু সকলের সঙ্গে মিশতে পারলে হয়ত বছরে ১০টা গানের জায়গায় ২০টা গান হয়তো গাইতে পারতাম। কিছু পুরস্কার বেশি পেতাম। কিন্তু আমার তাতে কোনও ক্ষোভ নেই। আমি অল্পেতেই খুশি থাকি”। আজও মা বাবার শেখানো নৈতিকতা, মূল্যবোধকে আঁকড়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করছেন সোমলতা।