অবশেষে স্বস্তি। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। গতকালই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন অবস্থার অবনতি না হলেও কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে। কিন্তু তার একদিন পরেই ছেড়ে দেওয়া হল তাঁকে। মোটের উপর সুস্থ রয়েছেন তিনি।
চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রবীণ অভিনেত্রী। আপাতত তিনি সুস্থ বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণে এসেছে বুক ধড়ফড়ানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা। কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজনও হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়াদাওয়া করছিলেন তিনি। তাই তাঁকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিন সদস্যের চিকিৎসকের দল জানিয়েছিল, শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। আগের থেকে সুস্থ রয়েছেন তিনি। তবে এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছেন তিনি। খুব একটা কথাও বলছিলেন না বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। আইসিইউ-তেই ছিলেন সন্ধ্যা রায়৷ তবে বুক ধড়ফড়ানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই কমেছে।
কয়েকদিন আগে বুক ধড়ফড় শুরু হয় প্রবীণ অভিনেত্রীর। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, সারা শরীরে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হার্টে সমস্যা রয়েছে তাঁর। এখনও কড়া পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে তাঁকে। সূত্রের খবর, শনিবার বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর হঠাৎই বুকে অস্বস্তি বোধ হয়। তিনি ফোন করেন সহকারীকে। তিনি এসে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ হন সন্ধ্যা রায়। ৭৯ বছরের বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে খুব একটা এখন পর্দায় দেখা যায় না। মায়া মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’, ‘অশনী সংকেত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ঠগিনী’, ‘রাহগির’, ‘নবাব’, ‘সত্য মিথ্যা’ ‘বাবা তারকনাথ’-এর মত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।