বৃহস্পতিবার ছিল জাতীয় ক্রীড়া দিবস। খেলা সকলের কাছে আলাদাই বিনোদনের মাত্রা যোগ করে। আর এই খেলা আর সিনেমা যখন একে অপরের সঙ্গে মিলে যায় তখন সেই বিনোদনের মাত্রা যে কোন পর্যায়ে পৌঁছে যায় সেই কথা আর বলতে লাগে না। তেমনই বেশ কিছু ক্রীড়া কেন্দ্রিক সিনেমা দেখে নেওয়া যাক যা বিনোদন জগতে ঝড় তুলেছিল।
লগন: ২০০১ সালে যখন বেশিরভাগ পরিচালক অ্যাকশন এবং রোমান্টিক, কমেডি ছবি তৈরি করছিলেন, তখন আশুতোষ গোয়ারিকর ভারতীয় সিনেমার প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় স্পোর্টস ফিল্ম ‘লগন’ তৈরি করেছিলেন। ক্রিকেট, ঔপনিবেশিক বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের অধ্যবসায়ের এক অনন্য সংমিশ্রণে, চম্পানের কল্পিত সম্প্রদায়ের সেটে নির্মিত ছবিটি দর্শকদের মন সহজেই জয় করেছিল। আমির খান অভিনীত এই ছবিতে গ্রামবাসীরা ইংরেজ সৈন্যদের শুল্ক শেষ করার জন্য একটি ক্রিকেট ম্যাচের জন্য চ্যালেঞ্জ করে।
দঙ্গল: নীতীশ তিওয়ারি পরিচালিত এবং আমির খান অভিনীত, ‘দঙ্গল’ ভারতের সেরা দুই মহিলা কুস্তিগীর, গীতা এবং ববিতা ফোগাটের গল্প তুলে ধরেছিল। এই ছবি দর্শকদের হৃদয়ে গভীর জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি ১৯৮০-এর দশকে হরিয়ানার একটি ছোট গ্রাম থেকে শুরু হয় এবং ২০১০ সালে দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসের মাধ্যমে শেষ হয়।
চাক দে ইন্ডিয়া: শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবিটি ক্রীড়া ঘরানার একটি মাইলফলক । ছবিটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নির্মিত সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি। এটি ভারতের জাতীয় খেলা হকিকে তুলে ধরেছিল।
ভাগ মিলখা ভাগ: রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা পরিচালিত এবং ফারহান আখতার অভিনীত, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ভারতের কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ মিলখা সিংয়ের জীবনী নিয়ে তৈরি। মিলখা সিংয়ের কাজের সঙ্গে সে সময়ের ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের বৃহত্তর পটভূমির সাথে মিশেছে এই ছবিতে।
চান্দু চ্যাম্পিয়ন: কবির খান পরিচালিত এবং কার্তিক আরিয়ান অভিনীত সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ মুরলিকান্ত পেটকারের জীবনী নিয়ে তৈরি। এই ছবি তার অদম্য পরিশ্রমের গল্প বলে। যা ভারতকে ১৯৭২ সালে প্যারালিম্পিক গেমসে তার প্রথম স্বর্ণপদক এনে দিয়েছিল।