মহানায়িকা বললে এখনও যে নাম টা চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন সুচিত্রা সেন। কিন্তু জীবনের শেষ ধাপে এসে নিজেকে আড়াল করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কী সেই কারণ? যা নিয়ে আজও রয়েছে ধোঁয়াশা। হাসপাতালের ভর্তি হওয়ার আগে জীবনের শেষ কয়েকটা দিন কোথায় কাটিয়েছিলেন তিনি?
তাঁকে নিয়ে আলোচনা, বিশ্লেষণ, প্রশংসা সবই হয়েছে ভুরি ভুরি। তবে তিনি মানুষের হৃদয়ে রয়ে গিয়েছেন চিরন্তন সুন্দরী হিসেবেই। তার থেকেও বড় কথা ভারতীয় সিনেমার এই কিংবদন্তী নায়িকাকে নিয়ে মিথের তো শেষ নেই।
কেরিয়ারের মধ্য গগনে এসে তিনি নিজেকে আচমকাই অন্তরালে নিয়ে চলে যান। যেই নিভৃতবাস চলেছিল তাঁর মৃত্য পর্যন্ত।২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তী অভিনেত্রীর। কিন্তু জীবনের শেষ দিনেও থেকে গিয়েছেন সেই অন্তরালেই।
সাতের দশকের মাঝের দিকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। স্বামীকে হারানো থেকে শুরু করে ছবি ফ্লপ হওয়া। সব কিছু যেন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল তাঁকে। রামকৃষ্ণ মিশনে যুক্ত হয়েছিলেন। একটা সময় নাকি শোনা গিয়েছিল, শারীরিক কিছু কারণ বশত তিনি নাকি সেখানে নিয়েছিলেন একটি ঘরও। নিজেকে বন্দি করেই রাখতেন। যদিও এই খবরে সিলমোহর দেয়নি তাঁর পরিবার।
তাঁকে নিয়ে মানুষের কৌতুহল আজও একই রয়ে গিয়েছে। রূপোলি পর্দায় তাঁর উপস্থিতি লাখো পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তুলত।এদিকে তাঁর অন্তরালে চলে নিয়েও রয়েছে রহস্য। অনেকে বলেন, মহানায়ক উত্তম কুমারের মৃত্যুর পরই নাকি সুচিত্রা সেন নিজেকে অন্তরালে নিয়ে চলে যান। কিন্তু এই কথা পুরোপুরি ঠিক নয়।
মহানায়িকার শেষ ছবি প্রণয় পাশা ফ্লপ হওয়ার পর ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তখন তিনি দীক্ষা নেন রামকৃষ্ণ মিশনে। পবিত্র ধর্মগুরু ভারত মহারাজের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সুচিত্রা সেনকে নিয়ে লেখালেখি করা সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায়ের বইতে মিলেছিল এই তথ্য। সেখান থেকেই জানা যায় যে ভারত মহারাজ মহানায়িকাকে বলেন, “মা অর্থলিপ্সু, লোভী হও না।” ভারত মহারাজের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ সুচিত্রাকে স্বেচ্ছাবন্দী হওয়ার পথে নিয়ে যায়।