বিনোদন

ফুড ব্লগার হবে না কি, কাজকর্ম কিছু নেই আর? এই ভিডিও পোস্ট করতেই নেটদুনিয়ায় তুমুল ট্রোলড সুদীপা

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। নিজের জীবনের যাবতীয় আপডেট সব সময় দিয়ে থাকেন অভিনেত্রী। এবারেও তারা অন্যথা হলো না। কিন্তু তার এই পোষ্টের পরেই ভালো মন্তব্যের পাশাপাশি নেতিবাচক মন্তব্য উড়ে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোল হলেন সুদীপা।

অভিনয়ের পাশাপাশি সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ব্যবসাও রয়েছে। যেমন রেস্তোরাঁ রয়েছে তাঁর ঠিক তেমনই রয়েছে বুটিক। এবার শহর কলকাতার মানুষদের ঠিকানা দিলেন ভাল চপ-কাটলেটের। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করতেই চরম কটাক্ষের শিকার হতে হল তাঁকে। ভিডিও পোস্ট হতেই ধেয়ে এল একের পর এক তির্যক মন্তব্য।

আরও পড়ুন: ছোট পর্দায় কাজ করতে উৎসাহী ছিলেন না রচনা! কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী?

একজন কমেন্ট লিখেছেন, “আপনিও ফুড ব্লগিং শুরু করলেন নাকি আবার, কেস খেয়েছে, এবার সাধারণ মানুষ কী করবে তাহলে। প্রথমে শাড়ি, তারপর গহনা, তারপর কেমআপ, এখন আবার ফুড ব্লগিং, আর কী কী বাকি আছে একটা লিস্ট বানিয়ে দেব নাকি, একটু সুবিধে হবে আপনার।” কেউ আবার টিপ্পনি কেটে মন্তব্য করেছেন, “এখন কি ফুড ব্লগার হবে না কি? কাজকর্ম কিছু নেই আর”? তবে নেতিবাচক মন্তব্যের পাশাপাশি, ভালো মন্তব্যও এসেছে।

কিছুদিন আগেই শাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন সুদীপা। বেশ কয়েকটি ঢাকাই জামদানি শাড়ির ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “ঢাকাই জামদানী,শাড়ী। ৫৫,০০০ থেকে ১,৩০,০০০ অবধি দাম। এ জিনিস সবসময় চাইলেই পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের শাড়ী- আজ রাতেই চলে যাবে ফেরত। এই কটা বাকি রয়ে গেছে। যদি কারো পছন্দ হয়- এক্ষুনি পেমেন্ট করতে হবে। সব Original Dhakai. 140 thread count এর শাড়ী। প্রতিটি শাড়ীর দাম ছবির নীচে,উল্লেখ করা আছে”।

আরও পড়ুন: পুত্রবধূদের মায়ের জায়গা নিতে পারবো না! বিয়ের আগেই ছেলেদের দিয়েছিলেন এই কঠিন শর্ত

এরপরেই একের পর এক কটাক্ষ আসতে শুরু করে। কেউ লিখেছেন, “মশলাপাতি হাঁড়িকড়াই নিয়েই তো ভালো ছিলেন, আবার এসব শাড়ি বিজনেস করতে গেলেন কেন! এইরকম দামে শাড়ি বেচার মতো ফেসভ্যালু আপনার নেই”। কারোর কথায়, “যাই কিডনিটা বেচে আসি”। কারোর মতে আবার, ঘর বাড়ি বেচে শাড়ি কিনতে হবে। কেউ তো আবার বলেছেন, এত দাম দিয়ে শাড়ি না কিনে সোনা কেনা ভালো। তাহলে ভালো কিছুতে ইনভেস্ট করা হবে।

যদিও এই কটাক্ষের মাঝেও অভিনেত্রীর পোস্টের হয়েও সওয়াল করেছেন বেশ কিছু জন। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছেন, “কাউকে তো জোর দেওয়া হয়নি শাড়ি কেনার জন্য। বিক্রি করছেন তাই সকলকে ইনফর্ম করেছেন। না পোষালে নেবেন না। এত খারাপ কথা বলছেন কেন”। আবার একজন একটি শাড়ি নিতে চাওয়ায় অভিনেত্রী জানান সেটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

Back to top button