ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছি, অনুরোধ করছি সাহায্য করুন! ভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে কাতর আবেদন দিদির

Published on:

ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছি, অনুরোধ করছি সাহায্য করুন! ভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে কাতর আবেদন দিদির

সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যু আজও রহস্য। কিছু জন বলেন এই অভিনেতাকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি আর সেই থেকেই জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নেন। মৃত্যুর ৪ বছর পর ফের একবার বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তার দিদি শ্বেতা কীর্তি সিং।


৮ বছরের কন্যাকে জীবন্ত সমাধি দেওয়া হয়েছিল এই কালী মন্দিরে, দেখুন ভিডিও 

৮ বছরের কন্যাকে জীবন্ত সমাধি দেওয়া হয়েছিল এই কালী মন্দিরে, দেখুন ভিডিও 


২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাই এর বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে প্রচুর। যদিও এখনো রহস্যের নিরসন হয়নি। তবে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়ার দিকে তখন আঙুল উঠেছিল। সুশান্তের পরিবার এবং দিদি ও তাকে দায়ী করেছেন এই বিষয়ে। পুলিশের গ্রেফতারের পরেও ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

   
 ⁠

শ্বেতা সুশান্তের একটি পুরোনো ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন দীর্ঘ এক লেখা। তিনি লিখেছেন, “ভাই, তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেছো ৪ বছর হয়ে গিয়েছে এবং আমরা এখনও জানি না যে ১৪ জুন, ২০২০ সালে ওই দিন ঠিক কী হয়েছিল। তোমার মৃত্যু রহস্যই রয়ে গিয়েছে। আমি অসহায় বোধ করছি এবং সত্যের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার আবেদন করেছি।”

  
 ⁠

সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করে শ্বেতা লিখেছেন, “আমি আমার ধৈর্য হারিয়ে ফেলছি। এবং হাল ছেড়ে দেওয়ার অবস্থা। কিন্তু আজ, শেষবারের মতো, আমায় এবিষয়ে সাহায্য করতে পারেন এমন মানুষদের বলতে চাই, নিজেদের বুকে হাত রেখে প্রশ্ন করুন, আমার ভাই সুশান্তের কী হয়েছিল তা কি আমরা জানার যোগ্য নই? কেন এটি একটি রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা হয়ে উঠেছে? সেই দিন যা ঘটেছিল এবং যা বলা হয়েছিল, তা বলার মতো সাহস কারও নেই কেন? আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আমাদের পরিবারকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন”।

ভাইকে নিয়ে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শ্বেতা। রাখিতে তিনি লিখেছিলেন, “তোমাকে হারানোর বেদনা চেয়েও কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি না। কারণ এটা বলার মতো ভাষা আমার কাছে নেই। এই যন্ত্রণা দিন দিন গভীরতর হয়ে চলেছে। একমাত্র সান্ত্বনা ঈশ্বর। পরপারে খুব জলদিই দেখা হবে ভাই। হয়তো আমিও তখন সকলের অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে উঠব। তোমার কবজিতে রাখি পরিয়ে দিয়ে প্রার্থনা করছি যে তুমি যেখানেই থাকো শান্তিতে থাকো, আনন্দে থাকো। অনেক ভালোবাসা। – গুড়িয়া দি”।