১২ বছরের মেয়ের সিদ্ধান্তকেও মর্যাদা দিতে হবে! তারা সুন্দরী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার ভাষণে মুগ্ধ সকলে

Published on:

১২ বছরের মেয়ের সিদ্ধান্তকেও মর্যাদা দিতে হবে! তারা সুন্দরী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার ভাষণে মুগ্ধ সকলে

আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল দেশ। যে যার মত করে পারছে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। আন্দোলন করছেন, নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তি চাইছেন সকলেই। এই নৃশংস ঘটনার যাতে সঠিক বিচার হয় সেই দাবিতে সোচ্চার প্রত্যকে। এরমধ্যেই তারা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার এক ভাষণ ভাইরাল হয়েছে। যা মন ছুয়ে গিয়েছে প্রত্যেকের।

ছাত্রীদের আন্দোলনের সময় প্রধান শিক্ষিকাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “এটা আমার কাছে খুব আনন্দের যে তোমরা নিজেরা আমাকে চিঠি করেছ যে তোমরা এই প্রতিবাদে সামিল হতে চাও। আমরা সরকারি চাকরি করি যাঁরা অনেক সময় তাঁদের অনেক বাধ্যবাধকতা থাকে। ওই যে পুলিশরা আজকে এসেছে, আমরা গতকাল পর্যন্ত ৩ বার চিঠি করেছি। কিন্তু এটা ওদের দোষ নয়। আসলে ওই পোশাকটার কিছু নিয়ম আছে। কিন্তু আজকে ওরা যে এসেছে সেটার কারণ ওদের পোশাকের নিচে যে মনুষ্যত্ব আছে সেটার টানে। অফিসিয়ালি কোনও অনুমতি আমরা পাইনি। আর আমরাও ঠিক করেছিলাম যে যদি জেলে ঢুকতেই হয় তাহলে রাস্তায় নেমেই ঢুকব। ঘরে বসে থাকব না”।

   
 ⁠

তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও যেভাবে প্রতিবাদের স্বর চড়িয়েছেন তাতে মুগ্ধ সকলে। কমেন্ট বক্সে যেমন বাহবা এসেছে তেমনি বিভিন্ন মহল থেকে শ্রদ্ধা কুড়িয়েছেন ওই শিক্ষিকা। তার শিক্ষা দেওয়ার কায়দা, চিন্তাধারা সাহসী করে তুলেছে তার ছাত্রীদের।

  
 ⁠

শিক্ষিকাকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে,”নিজেদের অধিকারের জন্য অন্য যে কোনও নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াবে। এটা বুঝে রাখো। যদি রাষ্ট্র ভেঙে পড়ে তাহলে ১৮ বছরের নিচের মানুষদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি একটা ১২ বছরের মেয়ের বিয়ে আটকাতে না পারি তাহলে একটা ১২ বছরের মেয়ের সিদ্ধান্তকে আমাদের মর্যাদা দিতে হবে। নিজেদের কখনও ঠকাবে না। অন্য কোনও মেয়ের প্রতি অন্যায় হয় তাঁর পাশে দাঁড়াবে”।

তাঁর কথায়, “অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য সবসময় হিল্লিদিল্লি পৌঁছতে হবে এমনটা নয়। বাড়ি থেকেই তুমি তোমার প্রতিবাদ শুরু করো। তোমার কাজ তুমি করো”।