পর্ণস্টারের তকমা দিয়েছিল বাবা, সঙ্গে অকথ্য অত্যাচার! অল্প বয়সেই আত্মহত্যার চেষ্টা উরফির

Published on:

তোমার শরীরের মাপ কত? উরফিকে নোংরা প্রশ্ন যুবকের, মাঝ রাস্তায় অস্বস্তিতে অভিনেত্রী

নজরকাড়া পোশাক পড়ে বারবার তাক লাগিয়ে দেন উরফি জাভেদ। সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর অভিনব পোশাকের চিন্তা ভাবনা সব সময়ই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। তবে এই উরফি জাভেদের ছোট বেলা কিন্তু মোটেই সুখকর ছিল না। প্রাণে বাঁচতেই বাড়ি থেকেও পালাতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছোটবেলায় অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। পেয়েছিলেন পর্ন স্টারের তকমাও। লখনউ-তে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই অভিনেত্রীর। ছোট থেকেই একটু অন্যরকম পোশাক পড়তে ভালোবাসতেন তিনি। কিন্তু বাড়ি থেকে বারণ ছিল সেই সমস্ত পোশাক পড়া।

   
 ⁠

অভিনেত্রী জানান, একটি ওয়েব সিরিজ়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। কিন্তু তিনি এই অভিনয়ে প্রস্তুত না থাকায় ওই চ্যানেল উরফিকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আইনি নোটিশ পাঠায়।

  
 ⁠

এরপর কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ভয় পেয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদল করে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ান। এরপর হয়ে ওঠেন বেপরোয়া, সাহসী।

প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, “শুধু শারীরিকভাবে নয়, বরং মানসিকভাবেও নানান অত্যাচার সহ্য করেছি। নির্দিষ্ট ধাঁচের বাইরে পোশাক পড়া আমার বারণ ছিল। আমি তো আত্মহত্যা করতেও চেয়েছিলাম। কিন্তু এসবের কারণ কি? উরফির কথায়, আমার নীল টপ পড়া একটা ছবি পর্ণসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। ১৫ বছর বয়েসে এইসব দেখেছি আমি। আমার আশেপাশের মানুষজনের সঙ্গে আমার বাবাও আমায় পর্ণ তারকা বলেছিল”।

এই ঘটনার পরেই তাঁর বাবা প্রচণ্ড মারে তাঁকে। এই পরিমাণ এতটাই ছিল যে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মারের ভয়ে মুখ ফুটে কিছুই বলা সম্ভব হয়নি তাঁর। শুধু এটুকুই বুঝতে পারেন নি, যেখানে তিনিই ভিকটিম, সেখানে মার খাচ্ছেন কেন?এরপরেই প্রাণে বাঁচতেই ১৭, বছর বয়সেই তিনি দিল্লি পালিয়ে আসেন।