মৃত্যুর শেষ বেলায় সুচিত্রা সেনকে দেখতে চেয়েছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। কিন্তু মহানায়িকার ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় না হওয়ায় অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি উত্তম কুমারের। কিন্তু মহানায়কের শেষ যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন।
সিনে জগতে হট কেক ছিল এই জুটির রসায়ন। কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল গোপন সম্পর্কে লিপ্ত উত্তম-সুচিত্রা। যদিও সেই গসিপে সিলমোহর কোনওদিনই দেননি দুই সেলেবের কেউই। কিন্তু এই নিয়ে একবার মুখ খোলেন মহানায়ক।
উত্তম কুমার নাকি জানিয়েছিলেন, “কে বলল আমি রমার প্রেমে পড়িনি? রমাকে ভাল না বেসে থাকা যায় নাকি? তবে খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে রমা। কী বলেছিল জানো? বলেছিল, আমরা যদি প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে পড়ি, তাহলে স্বপ্নের প্রেমিক-প্রেমিকা ইমেজটায় চোট লাগবে। আমাদের ছবি তেমন আর চলবে না। দর্শক আমাদের আর রোমান্টিক জুটি হিসেবে গ্রহণ করবেন না”।
উত্তম-সুচিত্রা। একটা নাম নিলে অপর নামটা যেন নিজে থেকেই উচ্চারিত হয়ে যায়। চিরকালের চিরনতুন এই জুটি। এই জুটির যেন শেষ নেই কোথাও। তবে জানা সুচিত্রা সেন যখন অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তখনও প্রথম কারণ হিসেবে উত্তম কুমারের নামই আগে উঠে এসেছিল।
হাজার বিতর্কের পরেও উত্তম কুমারের মৃত্যুর দিন সেখানে এসেছিলেন সুচিত্রা সেন। সেদিন গৌরী দেবী তাঁকে দিয়েছিলেন এক বিরাট অধিকার। হাতে রজনীগন্ধা, সাদা ফুলের মালা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন উত্তম কুমারের মৃতদেহের সামনে। এরপর মহানায়কের পায়ে সেই মালা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনই গৌরী দেবী তাঁকে বাধা দেন।
গৌরী দেবী বলেন, “পায়ে মালাটা দিতে যাবেন ঠিক তখনই থামিয়ে দিলেন গৌরী দেবী। বলেন, “অনেক ছবিতে তো গলায় পড়িয়েছ, আজ কেন পায়ে দিচ্ছ মালাটা? গলায় পরিয়ে দাও।”নিস্তব্ধ পরিবেশ যেন তখন আরও থমথমে হয়ে উঠেছিল। উত্তম কুমারের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে একটাই কথা বলেছিলেন মহানায়িকা,“আমি হেরে গেলাম উত্তম”।