ছবির নাম নিয়ে আপত্তি সুচিত্রার স্বামীর! বহু বাধা ঠেলে কীভাবে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ হয়ে উঠলেন উত্তম কুমার?

Updated on:

কথা ছিল সরোজ খানের সঙ্গে কাজ করার, ফিরিয়েছিলেন সন্দীপ রায়ের ছবির প্রস্তাব! মহানায়ককে ঘিরে একগুচ্ছ অজানা কাহিনী

চির নূতন, চির নবীন তিনি। তার ক্যারিশমায় পাগল ছিল গোটা দুনিয়া। উত্তম কুমার এই নামটাই ছিল যথেষ্ট প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানার জন্য। মহানায়ক বলে কথা। বাংলা সিনেমার প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি। তবে তার জীবনেও রয়েছে বেশ কিছু অজানা তথ্য।

এন্টনি ফিরিঙ্গিতে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছিলেন মহানায়ক। জানেন কি এই সিনেমা কিন্তু একেবারেই সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। হেন্সম্যান অ্যান্থনি নামক এক পর্তুগিজের জীবনীর উপর ভিত্তি করে লেখা হয় অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির চিত্রনাট্য।

   
 ⁠

১৯৬১ সালের সাথী হারা ছবিতে একসঙ্গে কাজের কথা ছিল বলিউডের বিখ্যাত করিওগ্রাফার সরজ খান এবং উত্তম কুমারের। কিন্তু মহানায়কের অসুস্থতা সে সুযোগে বাধ সাধে।

  
 ⁠

অমর সিনেমা সপ্তপদীর বিখ্যাত গান এই পথ যদি না শেষ হয়। প্রেমিক প্রেমিকারা আজও গুনগুনিয়ে ওঠেন এই গান। তবে জানেন কি এই গানের শুটিং বানচাল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও সুচিত্রা সেনের উদ্যোগে ভালোভাবেই গানটির শুটিং হয়। সুচিত্রা সেন প্রবল আপত্তির সম্মুখীন হন সেই সময়। তবে কারো কোনো কথা না শুনে এগিয়ে যান মহানায়িকা।

উত্তম সুচিত্রার মনোমুগ্ধকর ছবি ‘অগ্নিপরীক্ষা’। ছবির পোস্টার নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছিল তখন। পোস্টারে লেখা ‘সত্যিকারের ভালোবাসার সাক্ষী অগ্নি পরীক্ষা’ কথাটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন সুচিত্রার স্বামী।

সত্যজিৎ রায়ের ঘরে বাইরে ছবিতে সন্দীপ চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল উত্তম কুমারের কাছে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন মহানায়ক। কারণ নায়ক সুলভ চরিত্রের মোড়ককে খুব একটা ভাঙতে চাইতেননা তিনি।

এছাড়াও উত্তম কুমার অভিনীত সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত দেয়া নেয়া ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন শ্যামল মিত্র। আবার তিনিই ছিলেন এই ছবির প্রযোজক।

প্রসঙ্গত, সে সময়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করতেন উত্তম কুমার। প্রায় সব পরিচালক প্রযোজকরাই নিজেদের ছবিতে মহানায়ককে পেতে চাইতেন।তবে শোনা যায়, শেষের দিকে পারিশ্রমিকের পরিমাণটা বদলে যায় মহানায়কের।

তবে শুধু অভিনয় নয় তার ব্যক্তিগত জীবনও ছিল সবসময় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। ১৯৮০ সালে শুটিং ফ্লোরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপরেই মৃত্যু হয় তার। কিন্তু মহানায়কের প্রয়াণের এত বছর পরেও তাঁর ব্যক্তি জীবন নিয়ে আমজনতার কৌতূহল বড় কম নেই। সেটে তাঁর চালচলন, ব্যবহার সম্পর্কে জানার আগ্রহ কার না হয়? উত্তম কুমারই যে ছিলেন সে সময়কার ‘ইন্ডাস্ট্রি’।