ছিপছিপে গড়নের চেহারা আমাদের সকলেরই লক্ষ্য। সেই কারণে নিজের অনেক পছন্দের খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম ভাত। বাঙালির এই ভাতের প্রতি প্রেম ত্যাগ করতে কষ্ট সাধন করতে হয়। শরীরের প্রতি ভালবাসা নাকি ভাতের প্রতি ভালোবাসা কোনটাকে বেছে নেবেন? এই দুইয়ের দ্বন্দ্বের মাঝে যদি দেখা যায় ভাত খেয়েও সুন্দর শরীর ধরে রাখা যাচ্ছে তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
ভাত খেয়েও রোগা থাকবেন কিভাবে? এই প্রশ্ন যখন সকলের মনে ঘুরপাক খায় তখন বেশ কিছু বিশেষ কিছু চালের ভাত খেলে শরীরে মেদ জমবে না। শখ পূরণ করে ভাত খাওয়া হবে আবার সুন্দর গড়নের চেহারাও ধরে রাখা যাবে।
ভাতের চাল হিসেবে বেছে নিতে পারেন ব্ল্যাক রাইসকে।এই ভাত সেদ্ধ হওয়ার পর গাঢ় বেগুনি রঙের হয়ে যায়। ব্ল্যাক রাইসের মধ্যে অ্যান্থোসায়ানিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে। এর স্বাদ একটু মিষ্টি প্রকৃতির হয়। এছাড়াও ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। এই ভাতের মধ্যে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের পরিমাণ বেশি। যা ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল ও সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
বেছে নিতে পারেন ওয়াইল্ড রাইসকেও । এর মধ্যে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো পুষ্টি পাওয়া যায়। সাদা চালের ভাতের বদলে রেড রাইস খাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন ওজন কমাতে সাহায্য করে। একমাত্র এশিয়া মহাদেশেই এই লাল চাল উৎপাদিত হয়। রেড রাইসের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ উপাদান রয়েছে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়।
সঠিক পরিমাণে ঠিক উপায়ে রান্না করে খেলে ভাত খুবই উপকারী৷ ভাতে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরির পাশাপাশি ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট, স্টার্চ, ভিটামিন বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি থাকে। সুতরাং, ভাত খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার দরকার নেই। ভাত পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি রাখে৷ ঘন ঘন খিদে পাওয়ার বিষয়টি কমায়।