রোগা হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যে শর্ত তা হল আগেই মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে হবে। যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই শর্ত খুবই কষ্টকর। কিন্তু যদি মিষ্টি খেয়েও রোগা হওয়া যায় বরং বলা ভালো মিষ্টি খেয়েই বেশি করে ওজন ঝরানো যায় তাহলে কেমন হয়? শুনতে অবাক লাগলেও এমন কিছু মিষ্টি আছে যা খেলে ওজন কমবে হুড়মুড়িয়ে।
বর্তমানে ওজন কমানো আমাদের সকলের লক্ষ্য। অতিরিক্ত মেদের কারণে যেমন দেহের সুশ্রী চলে যায় ঠিক তেমনি চেপে বসে হাজার একটা রোগ। এদিকে দামি দামি খাবার খেয়েও ডায়েট ফলো করা সব সময় সম্ভব হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অফিসে বসে বসে কাজের দরুন বাড়তে থাকে ভুঁড়িও। পুজোর আগে তাই মিষ্টি খেয়েই ঝটপট কমাতে পারেন মধ্যপ্রদেশকে।
এই লাড্ডু বানানোর জন্য লাগবে আধ কাপ জোয়ান, আধ কাপ মৌরি, আধ কাপ পোস্ত, ৩ টেবিল চামচ গোটা গোলমরিচ, আধ কাপ কুমড়োর বীজ, আধ কাপ মাখানা, আধ কাপ কাঠবাদাম-কাজু, আধ কাপ ছোলা ভাজা, ১ কাপ দেশি ঘি, আধ কাপ বেসন, ১০০ গ্রাম কিশমিশ, আধ কাপ গুড়, ২০০ গ্রাম মিছরি।
প্রথমেই, একটি তাওয়া গরম করে তাতে জোয়ান, মৌরি, পোস্ত, গোলমরিচ, কুমড়োর বীজ, মাখানা, কাজু-বাদাম ভেজে নিতে হবে। এরপর এই উপকরণ গুলোকে মিক্সিতে একেবারে পাউডার করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে গরম হলে বেসন দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে এরপর বেসনের সুন্দর গন্ধ নাকে এলে তার মধ্যে বেটে রাখা মিশ্রণ, গুড়, মিছরির গুঁড়ো, কিশমিশ আর ভাজা ছোলার গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। একটা হালকা সুন্দর গন্ধ বের হলে এই মসলার গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে। এরপর নামিয়ে হালকা গরম থাকতে থাকতেই লাড্ডুর আকার দিতে হবে।
গাঁটের যন্ত্রণা, কোনও রকম সংক্রমণ, হজমের সমস্যা দূর করে এই লাড্ডু। এছাড়াও সন্তান প্রসবের পর শরীর চাঙ্গা রাখতে ও দ্রুত ওজন ঝরাতেও এই লাড্ডু খাওয়ানো হয়।