বর্তমান কর্মব্যস্ততার যুগে মানসিক অবসাদে আমরা সকলেই ভুগি। কারোর একটু বেশি কারোর কম। এই পরিস্থিতিতে যোগাসন কিন্তু অনেকটাই সমস্যার সমাধান করতে পারে। যদি নিয়মিত যোগাসন করা যায় তাহলে মন শান্ত হয়। নির্মূল হয় অনেক সমস্যার।
যোগাসন যেমন মনকে শান্ত করে, ঠিক তেমনই শরীরকেও সুস্থ রাখে। যারা জিমে গিয়ে ভারী এক্সারসাইজ করতে পারেন না তাদের জন্য যোগাসন অব্যর্থ ঔষধি। যোগাসনের জন্য সামান্য সময় দিতে পারলেই কিন্তু উপকার পাওয়া যাবে। যদিও মানসিক সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে যোগাসন কোনও বিকল্প নয়। রোগীদের জন্য চিকিৎসকরা আলাদা আসনের পরামর্শ দিতেই পারেন। সেই সব আসন ও অন্যান্য চিকিৎসার কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না।
এ কথা বলা হয় যে প্রতিদিন যদি ঘন্টাখানেক যোগব্যায়াম করা যায় তাহলে মন এবং শরীর দুই থাকে ফুরফুরে। মূলত আসন, প্রাণায়াম ও ধ্যানেই মেলে সুফল। উত্তনাসন, ভিপারিতা করনি, শবাসনের মতো ব্যায়ামের কথা আলাদা করে বলেন অনেকে। তবে অন্তঃসত্ত্বারা কিংবা বয়স্করা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তারপরেই যোগাসন শুরু করবেন।
এদিকে কম সময়ে শুধুমাত্র কয়েকটি যোগাসনের সাহায্যে অসাধ্যসাধন করা যায়। সঙ্গে অবশ্য ডায়েটেরও প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত নৌকাসন, ভুজঙ্গাসন, ধনুরাসন, কুম্ভকাসন এবং উষ্ট্রাসন করলে সহজেই পেটের মেদ কমানো যেতে পারে।