বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আলোচনায় এ আর রহমান। ২৯ বছরের সম্পর্কে বিচ্ছেদের খবর রটেছে কিংবদন্তি গায়কের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। এর মধ্যেই এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।
ইতিমধ্যেই রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করার জন্য তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন। এক অডিও বিবৃতিতে সায়রা বলেন, “আমি এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ে আছি। গত কয়েক মাস ধরে এখানে আছি। দীর্ঘদিন এভাবে জীবনযাপন করার কারণেই ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। তিনি বিশ্বের সেরা ব্যক্তি। আমার স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে আমি চেন্নাই যেতে পারিনি। আমি চেন্নাইতে না থাকলে মানুষ ভাববে সায়রা কোথায়? আমি এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি”।
তবে এই বিষয়ে খানিকটা আশার আলো দেখিয়েছেন আইনজীবী। তিনি ফের পুনর্মিলনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আইনজীবী বলেন, “আমি তো কখনও বলিনি ওঁদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি। সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার”।
বন্দনার সংযোজন, “দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ওঁদের, তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওঁরা। কিন্তু আমি তো এরমাঝে কখনও বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রাবানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়”।
খোরপোশ দেওয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন বন্দনা। আইনজীবীর কথায়, “ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এই আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রাবানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্নই ওঠে না”।
এ আর রহমান ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের তিনটি সন্তান, এক ছেলে আমিন এবং দুই মেয়ে রাহিমা ও খাতিজা রয়েছে। কিন্তু ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনেছেন গায়ক। এখন তাঁর ডিভোর্সের খবরেই ছয়লাপ গোটা বিনোদন জগত।